গ্রেপ্তার আব্দুল জলিল আমদানিকারক প্র্রতিষ্ঠান সিয়াম এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী।
ঢাকার চকবাজার থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, শনিবার ওই আসামি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে চট্টগ্রামের একটি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এ নিয়ে ওয়েবসাইট জালিয়াতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হল।
ঢাকার চকবাজারের সিয়াম এন্টারপ্রাইজ এ বছরের শুরুর দিকে ১৩ হাজার ৫২০ কেজি চীনাবাদাম ও ৪ হাজার ৫১০ কেজি জলপাই আমদানির ঘোষণায় একটি চালান আনে চট্টগ্রাম বন্দরে। তাদের মনোনীত সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ চালানটি খালাসের জন্য গত ২৩ এপ্রিল কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
সন্দেহজনক পণ্যের উপস্থিতির তথ্য থাকায় কাস্টমসের এআরআই শাখা চালানটির খালাস স্থগিত করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করেন।
এতে দেখা যায়, ওই চালানে আনা হয়েছে উচ্চশুল্কের ২১ হাজার ৬০ কেজি শিশুখাদ্য গুঁড়োদুধ। ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে শুল্ক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা, শতভাগ জরিমানা বাবদ আরও ৬৬ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকা বিমোচন জরিমানা দেওয়ার আদেশ দেয়।
এছাড়া আমদানি পণ্যের চালানটি খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা আমদানি রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের ক্লিয়ারেন্স পারমিট কাস্টমসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। গত ১১ অক্টোবর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিয়াম এন্টারপ্রাইজের পক্ষে খান এন্টারপ্রাইজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ছাড়পত্র সনদ কাস্টমসে দাখিল করে।
এ সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিও দেয় প্রতিষ্ঠানটি।এতে বিএসটিআই’র ছাড়পত্র এবং কাস্টমসের আরোপিত জরিমানা ও শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে চালানটি ছাড় দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।কাস্টমসের এআরআই শাখা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পায়, পণ্যছাড়ের জন্য জমা দেওয়া ক্লিয়ারেন্স পারমিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যে ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ভূয়া।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে -www.mincom.gov.bd। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি www.mincomgov.com নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে পণ্যছাড়ের ভূয়া অনুমোদন পত্র জমা দেয় বলে শনাক্ত করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায ২৯ অক্টোবর নগরীর বন্দর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়।