অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় কাউকে বাধা হতে দেওয়া হবে না: রেজাউল

জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে কোনো সাম্প্রদা‌য়িকতা, জঙ্গিবাদ ও অরাজকতা সৃ‌ষ্টিকারীদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেওয়া হ‌বে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2020, 05:15 PM
Updated : 20 Nov 2020, 05:15 PM

শুক্রবার বিকেলে নগরীর সীমেন্স হোস্টেল এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘বুদ্ধ ধর্ম একতা সংঘ’ চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বুদ্ধ পূজা, অর্হৎ সাবলী পূজা, অষ্টপরিষ্কারসহ সংঘদান, সদ্ধমর্দেশনা ও বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ একথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম বলেন, “সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা দেশ ও ধর্মের শত্রু। জা‌তির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশে এক‌টি অসাম্প্রদা‌য়িক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যেখা‌নে সকলেই মিলেমিশে সু‌খে ও শা‌ন্তি‌তে বসবাস করবে এবং প্রত্যেকে নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম প্রতিপালন করবে।

“‌তি‌নি সংগ্রামী রাজ‌নৈ‌তিক কর্মকাণ্ডে দেশের সমস্ত ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সম্প্রদায় ও শ্রেণি- পেশার মানুষকে একই সূত্রে গেঁ‌থে এক‌টি বাঙা‌লি জাতীয়তাবা‌দ প্র‌তিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। তাই ১৯৭১ এর মু‌ক্তিযুদ্ধে আমরা জাতীয়তাবাদের শ‌ক্তি‌তে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করতে পে‌রে‌ছি।”

আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম বলেন, “আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনা পিতার আদর্শ ও মু‌ক্তিযু‌দ্ধের চেতনায় দেশ‌কে পরিচালনা কর‌ছেন। স্ব‌প্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে কোনো সাম্প্রদা‌য়িকতা, জঙ্গিবাদ ও অরাজকতা সৃ‌ষ্টিকারী‌দের বাধা হ‌য়ে দাঁড়া‌তে দেওয়া হ‌বে না।

“সকল অশুভ শ‌ক্তি‌কে ’৭৫ পরবর্তী বাংলার আরাধ্য নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হা‌সিনা কঠোর হাতে দমন করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে গেছে। অসাম্প্রায়িক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেখেছিলেন তারই ভিত্তিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সোনার বাংলাকে গড়ে তুলেছেন।”

অনুষ্ঠানে একক ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কে শ্রী জ্যোতিসেন থের, প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন প্রদীপ কুমার বড়ুয়া, প্রধান বক্তা ছিলেন প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী।