চট্টগ্রামে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের ব্যস্ত দিন

চট্টগ্রামে এক দিনের সফরে বন্দর, শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন এবং সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2020, 05:46 PM
Updated : 17 Nov 2020, 05:46 PM

মঙ্গলবারের এই সফরে তিনি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামে কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে গিয়ে প্রয়াত যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাও জানান।

ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সফরে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্ণফুলী নদীর হাইড্রলিক ও হাইড্রোলজিক্যাল সমীক্ষা পরিচালনার জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা এইচার ওয়েলিংফোর্ড ইউকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয় মঙ্গলবার। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই সমীক্ষার মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে করণীয় এবং নদীর জন্য ক্ষতিকর অবকাঠামো নির্মাণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পাওয়া যাবে।

পাশাপাশি নদীর কোন কোন অংশে নিয়মিত ড্রেজিং করতে হবে এবং দূষণ হ্রাস করে পানির গুণগত মান সহনীয় পর্যায়ে আনার বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে সমীক্ষাটির ফলাফলের ভিত্তিতে।

ডিকসন অনুষ্ঠানে বলেন, এই সমীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

ব্রিটিশ হাই কমিশনার বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বিরের সঙ্গেও দেখা করেন।

সীতাকুণ্ডে বেসরকারি পিএইচপি শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করে তারপর বন্দরের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডিকসন।

বন্দর থেকে তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সঙ্গে দেখা করতে যান।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন।

চট্টগ্রাম নগরীর দারিদ্র্য দূরীকরণে যুক্তরাজ্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও ইউএনডিপির যৌথ কার্যক্রম, সামাজিক সংহতি, কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং জীবিকা উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন তারা। 

এই যৌথ কার্যক্রমের আওতায় বন্দর নগরীর প্রায় চার লাখ ৩৫ হাজার লোক উপকৃত হচ্ছে।

এসময় প্রশাসক সুজন চট্টগ্রামের শিল্প-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।

এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত।

এরপর ব্রিটিশ হাই কমিশনার বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সঙ্গে দেখা করেন। সবশেষে তিনি যান ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শনে।

চট্টগ্রাম সফর নিয়ে রবার্ট ডিকসন বলেন, “চট্টগ্রাম আমার অনেক ভালো লেগেছে। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধন ও একই সাথে ব্যবসা বণিজ্য সুরক্ষা, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষার মত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করেছি।

“চট্টগ্রাম শহরের সমৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্য দুইশ বছরের বেশি সময় ধরে পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিকাশে আমরা পাশে থাকব।”