মুক্তিপণ দাবি, পরিচিতজনকে গ্রেপ্তারের পর লেগুনাচালকের লাশ উদ্ধার

অপহরণের দুই দিন পর এক লেগুনাচালকের লাশ উদ্ধার এবং একজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বলছে, মুক্তিপণের জন্য ওই চালককে হত্যা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2020, 03:53 PM
Updated : 10 Nov 2020, 03:53 PM

মঙ্গলবার হাটহাজারী উপজেলার চন্দ্রবিল থেকে লেগুনাচালক নাজমুল শেখের (২১) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় মো. রাজু (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য মতে, কালুরঘাট সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব বলছে, বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে লেগুনা ভাড়া নিয়ে চালক নাজমুলকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত নাজমুল শেখ গোপালগঞ্জ জেলার মসকুদপুর এলাকার মজনু শেখের ছেলে। পরিবারের সদস্যদের সাথে নগরীর পাহাড়তলি থানার সাগরিকা এলাকায় থাকতেন তিনি।

অপরদিকে গ্রেপ্তার রাজু সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ রহমত নগরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নগরীর টাইগারপাস রেলওয়ে কলোনিতে থাকেন তিনি।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এবং চান্দগাঁও ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. রকিবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজু নিহত নাজমুলের পূর্ব পরিচিত। নাজমুল লেগুনা চালায়। আর রাজু একই রুটে হিউম্যান হলারে হেলপার হিসেবে কাজ করে।

“রোববার রাতে মদুনাঘাটে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের ভাড়া আছে বলে নাজমুলের গাড়িটি যাত্রী বেশে কয়েকজন ভাড়া নেয়। এ ঘটনায় আরও তিন-চারজন জড়িত। রাজু গাড়িটি ভাড়া নিতে তাদের সহযোগিতা করে।”

রোববার রাতেই নাজমুলের মোবাইল থেকে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা।

রাতে নাজমুল না ফেরায় সোমবার পাহাড়তলি থানায় জিডি করে তার পরিবার। এরপর তারা র‌্যাবের সাথেও যোগাযোগ করে।

র‌্যাব কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, “তদন্তে নেমে আমরা রাজুর সন্ধান পাই। তাকে গ্রেপ্তারের পর চন্দ্রবিল এলাকা থেকে নাজমুলের লাশ উদ্ধার করি। মুক্তিপণ না পেয়ে নাজমুলকে হত্যা করা হয় বলে রাজু জানিয়েছে।

“ধরা না পড়ার জন্য তারা গাড়িটি কালুরঘাট সেতু সংলগ্ন এলাকায় ফেলে আসে।”

এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, “রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করা গেলে বিস্তারিত জানাতে পারব।”