স্বামীর সঙ্গে মিটমাটের কথা বলে গৃহবধূকে চট্টগ্রামে এনে ‘ধর্ষণ’

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়া হবে, প্রতিবেশীর এমন আশ্বাসে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে এসে রাতে তার বাসাতেই উঠেছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু সকালে সেই প্রতিবেশেই তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2020, 05:37 AM
Updated : 8 Nov 2020, 06:07 AM

পরবর্তীতে ওই নারীকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় কিছু যুবক তাকে মারধর করে টাকাপয়সা কেড়ে নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নগরীর লালখান বাজার এলাকায় শনিবার ওই ঘটনার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মনির হোসেন (৩৩), মাসুদ (২০), দিদার (২২) ও সোহেল (২৪)।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই নারী স্বামীর সঙ্গে লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় থাকতেন। মাসখানেক আগে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে তারা বাসা ছেড়ে দিয়ে কুমিল্লায় চলে যান। কিছুদিন পর স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তার স্বামী আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসেন।

ওই নারীর অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পরিত্রাণ তালুদার বলেন, “গত শুক্রবার মনির হোসেন নামের চট্টগ্রামের এক প্রতিবেশী ওই নারীকে জানান, তার স্বামী চট্টগ্রামে আছে। স্বামীর সঙ্গে মিটমাট করে দেবে, এমন কথা বলে তাকে চট্টগ্রামে আসতে বলেন মনির। এই আশ্বাসে সন্ধ্যায় ওই নারী চট্টগ্রামে এসে মনিরের বাসায় উঠেন।

“শনিবার সকালে মনিরের স্ত্রী চাকরিতে গেলে তিনি ওই নারীকে ছুরির ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।”

খুলশী থানার ওসি শাহীনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর ওই গৃহবধূ মনিরের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও ফেলে যাওয়া বোরকা নিতে দুপুরে আবার সেখানে যান।

তিনি বলেন, “সেখানে যাওয়ার পর স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক তার সঙ্গে মনিরের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই নারী রাজি না হওয়ায় মারধর করে তার টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়।

“পরে ওই গৃহবধূ প্রতিবেশী এক নারীকে নিয়ে থানায় এসে মারধরের অভিযোগ করলেও ধর্ষণের বিষয়টি গোপন করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সনদসহ থানায় আসার পরামর্শ দেন।

“হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনা জানান। পরে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয় এবং হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে।”

পরে ওই রাতেই ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনিরকে গ্রেপ্তার এবং তার বাসা থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়।আর ভোরের দিকে লালখান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদ, দিদার ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা করা হবে বলে জানান ওসি শাহীনুল।