চট্টগ্রামের আ. লীগ নেতা ইদরিসকে মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ

অর্থ-বিত্তের জন্য যারা রাজনীতি করেন তারা লুটেরা লুম্পেন বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

শুক্রবার বিকেলে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ইদরিস আলমের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “ইদরিস আলম একজন মেধাবী রাজনীতিক ছিলেন। এই জ্ঞানী মানুষটি অনেক গুণে গুণান্বিত। তিনি অর্থ-বিত্তের জন্য রাজনীতিকে ব্যবহার করেননি। অর্থ-বিত্তের জন্য যারা রাজনীতি করেন তারা লুটেরা লুম্পেন।

“বঙ্গবন্ধু ছয় দফার ঘোষণা করলে তিনি চট্টগ্রামে এর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। দল ও আদর্শের প্রতি নিবেদিত থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অন্তরে আমৃত্যু ধারণ করেছিলেন। উনার মতো নেতারাই বর্তমান প্রজন্মের রাজনীতিকদের কাছে নিজেকে নিজের আত্মশুদ্ধির সবচেয়ে বড় অবলম্বন “

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ইস্যু সৃষ্টিতে ব্যর্থ বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের জন্য যে অপতৎপরতা শুরু করতে চায় তাকে মোকাবেলা করার মতো শক্তি আওয়ামী লীগের আছে।

“তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবেই বর্তমান সরকারের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।”

নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “মুসলিম হাই স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৬৩ সালে শহীদ সাইফুদ্দীন খালেদ চৌধুরীর মাধ্যমে ইদরিস আলমের সাথে পরিচিত হই। একজন মেধাবী ছাত্র এবং তার্কিক ও পড়ুয়া ছিলেন ইদরিস আলম।

“উনার কাছে অনেক কিছুই শিখেছি এবং জেনেছি। আমি আমার জীবনে ইদরিস আলমের মতো নির্লোভ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক খুব কমই দেখেছি। উনার অর্থ ছিল না, কিন্তু চিত্তের বিত্ত ছিল। উনার মতো নেতার অভাব এখন উপলব্ধি করি “

রেজাউল বলেন, “রাজনীতি কখনো পেশা হতে পারে না। রাজনীতির মূল মর্ম কথাই হচ্ছে জনকল্যাণমুখী সেবা। রাজনীতিকদের জীবন-জীবিকার জন্য আয়-রুজি থাকবে, চাকরী থাকবে, ব্যবসা-পাতি থাকবে, কিন্তু তা যেন লুন্ঠন প্রবৃত্তিমূলক না হয়।

নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুন চৌধুরী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আলম, জেএসডি নেতা তৈয়বুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, গণতন্ত্র পার্টির স্বপন সেন প্রমুখ।

সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও চৌধুরী হাসান মাহমুদসহ করোনাক্রান্ত সকলের আশু রোগমুক্তি কামনা করা হয়।