মঙ্গলবার নগরী ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার এবং গাড়িটি উদ্ধারের পর বুধবার তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারী এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ শাহীন (৩২) এবং নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার আমজাদ আলী লেন এলাকার আব্দুল মালেক (৫০)।
শাহীন ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু।
সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া প্রাইভেটকারটির মালিক দীপক মজুমদার নামের এক ব্যক্তি। ভাড়ায় দেওয়ার জন্য তিনি গাড়িটি কিনেছিলেন।
“২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল শাহীন এক ব্যক্তিকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাজিয়ে প্রাইভেটকারটি মাসিক ২২ হাজার টাকায় দীপকের কাছ থেকে ভাড়া নেয় তিন বছরের চুক্তিতে। পরে দীপক খোঁজ নিয়ে দেখেন ওই নামের ব্যাংকটির কোনো কর্মকর্তা গাড়িটি ব্যবহার করছেন না।”
সিআইডি কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে দীপক শাহীনের কাছ থেকে গাড়িটি ফেরত নেন। এরপর শাহীন ক্ষিপ্ত হয়ে তার এক বন্ধু রিপনের মাধ্যমে দীপককে ফোন করে একজন রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে বলে প্রাইভেটকারটি ভাড়া করে।
“২০১৭ সালের ৪ জুলাই গাড়ি নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে গেলে শাহীনসহ কয়েকজন মিলে গাড়ি, গাড়ির কাগজপত্র ও দীপকের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।”
এ ঘটনায় দীপক মজুমদার পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
সিআইডি কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, ছিনিয়ে নেয়া গাড়িটি শাহীন ফিরিঙ্গি বাজারের আব্দুল মালেকের কাছে বন্ধক দিয়ে তিন লাখ টাকা নেন। তবে পরে কোনো টাকা পরে পরিশোধ করেননি তিনি।
“তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আমরা গাড়ির খোঁজ পাই। মালেকের কাছ থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।”
গ্রেপ্তার আব্দুল মালেক ঘটনার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।