বাঁশখালী থানায় চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাঁটলিপিকার (প্রেষণে বাঁশখালী চৌকিতে কর্মরত) মো. বদরুদ্দোজা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন। এতে কাউকে আসামি করা হয়নি।
মামলার পর পুলিশ বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া এলাকায় অনুষ্ঠানস্থলে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু প্রচারপত্র জব্দ করেছে।
বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি সংগঠন আয়োজিত মাহফিলে একজন বিচারকের অনুমতি ছাড়া নাম দিয়ে পোস্টার-লিফলেট করে ফেইসবুকে প্রচারের অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।
“প্রচারপত্রে ওই বিচারকের পদবীও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মামলার পর মাহফিলস্থলে উপস্থিত হয়ে বেশকিছু লিফলেট জব্দ করা হয়েছে।”
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, আগামী শনিবার চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হেফাজতে ইসলামের আমির প্রয়াত শাহ আহমদ শফী ও প্রয়াত পীরে কামেল শাহ মোহাম্মদ তৈয়ব স্মরণে ‘দোয়া ও ইসলাহি মাহফিলের’ আয়োজন নিয়ে পোস্টার-ব্যানার ছাপিয়ে ও ফেইসবুকে প্রচার চালাচ্ছে ‘পুকুরিয়া ইসলাম প্রচার সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন।
“এতে অতিথির তালিকায় ‘মাহাবুবুর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ, বান্দরবান’ লেখা আছে। বান্দরবানে মাহাবুবুর রহমান নামে কোনো জেলা ও দায়রা জজ নেই। বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নাম মাহবুবুর রহমান। তার পৈতৃক বাড়িও বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নে। ব্যক্তিগত জীবনের তিনি ইসলামি শরীয়াহ মেনে চলেন, কিন্তু তিনি কোনো দল-মতের সঙ্গে যুক্ত নন।”
বিনা অনুমতিতে নাম লিখে প্রচার চালানোর কারণে এই বিচারক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন, যা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের সামিল বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী বদরুদ্দোজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের নির্দেশে মামলাটি করেছি। অনুমতি ছাড়া একজন বিচারকের নাম ব্যবহার অপরাধ। এটা পুরো বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে বলে আমরা মনে করি। সে কারণে এ মামলা।”
বিচারকের নাম ব্যবহার করে ফেইসবুকে প্রচার-প্রচারণা চালানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১) এর ক-ধারা, ২৬ (১) এবং ২৯ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।