চট্টগ্রামে বিকাশ এজেন্ট খুনের কারণ পাওনা নিয়ে বিরোধ: পুলিশ

চট্টগ্রামে বিকাশ এজেন্ট খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে তাকে খুন করে লাশ রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2020, 11:57 AM
Updated : 24 Oct 2020, 11:57 AM

খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইপিজেড থানার সেলার্স কলোনি থেকে শুক্রবার রাতে আব্দুর রহমান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান (৪০) ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত। নগরীর ইপিজেড থানার নেভী ওয়েল ফেয়ার মার্কেটে তার প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়।

ওই মার্কেটের নিচতলায় ছিল বিকাশ এজেন্ট বিজয় কুমার বিশ্বাসের (৩২) দোকান, যিনি খুন হয়েছিলেন।

গত ১৫ অক্টোবর নগরীর পাহাড়তলী থানার আলিফ গলি থেকে ককশিট ও পেপার দিয়ে মোড়ানো বস্তাবন্দি অবস্থায় বিজয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আগের দিন থেকে তিনি নিখোঁজ জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিআইডি বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে রহমানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়। এরপর নেভী সেলার্স কলোনির ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন রঙধনু স্কুল গলির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

নেভী ওয়েলফেয়ার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেসার্স রাইড এন্টারপ্রাইজ ও হাওলাদার বিল্ডার্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে একটি অফিস আছে রহমানের।

একই মার্কেটের নিচতলায় বিজয়ের চাঁদনী এন্টারপ্রাইজ ও এন্ড গিফট শপ নামে দোকান রয়েছে বিজয়ের।

সিআইডি কর্মকর্তা মিজান বলেন, “একই মার্কেটের দোকান হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এজন্য প্রতিমাসে সাত হাজার টাকা লাভে দেড় লাখ টাকা আব্দুর রহমান ঋণ দেয় বিজয়। কিন্তু রহমান টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দুজনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছিল।”

সিআইডি জানায়, গত ১৪ অক্টোবর রহমান টাকা পরিশোধের কথা বলে বিজয়কে তার প্রতিষ্ঠানে ডেকে নেয়। সেখানে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রহমান ধাক্কা দিলে বিজয় মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। তখন গলায় ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে বিজয়কে হত্যা করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা মিজান বলেন, “সেদিন বিজয়ের লাশ আব্দুর রহমানের প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে পড়ে থাকলেও পরের দিন সকালে সে বস্তার ভেতর করে ককশিট ও পেপার মুড়িয়ে কর্মচারী নাছিরকে নিয়ে রিকশা করে বের হয়ে যায়।

“কিছু দূর যাওয়ার পর তারা একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে। অলঙ্কার মোড় যাওয়ার পর আলিফ গলিতে লাশ ফেলে দিয়ে আসে আব্দুর রহমান তার কর্মচারী নাছির। পরে রহমান নিজেই অপহৃত হয়েছে বলে একটি নাটক সাজায়। তবে শুক্রবার সে বাসায় ফিরে আসে।”