চট্টগ্রামে মণ্ডপে পুলিশ চায় পূজা উদযাপন পরিষদ

চট্টগ্রাম নগরীর পূজা মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2020, 03:54 PM
Updated : 19 Oct 2020, 03:54 PM

সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর পূজা উদযাপন কমিটি এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার (সিএমপি) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে না। এর পরিবর্তে টহলের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চন্দন তালুকদার বলেন, “এবার দুর্গাপূজায় মণ্ডপে স্থায়ী পুলিশ-আনসার না দেওয়ার সিদ্ধান্তে পূজা কমিটিগুলো উদ্বিগ্ন ও সনাতন সম্প্রদায়ের জনগণ আরও শঙ্কিত।

“কিছু কিছু মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে। সংবাদ মাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও নিপীড়নের খবর পত্রিকায় দেখে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন এমনিতে শঙ্কিত।”

চন্দন তালুকদার বলেন, “প্রতিবছর পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা রক্ষায় স্থায়ীভাবে ৪-১০ জন পুলিশ ও ৫-১০জন আনসার ভিডিপি দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করা হতো। কিন্তু এবার সেটা রদ করে শুধু টহল পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

“এতে নিরাপত্তা কতটুকু হবে তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এ সিদ্ধান্ত পুনবির্বেচনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।”

আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া শারদীয় দুর্গাপূজা ২৬ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, নগরীতে এবার ১৬টি থানায় ঘটপূজাসহ ২৭৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে।

তবে বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এবারের দূর্গাপূজায় আলোকসজ্জা, মণ্ডপসজ্জা ও সাউন্ড সিস্টেম বর্জন করে সেই অর্থ করোনাভাইরাস সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ।

মণ্ডপগুলোতে লোকসমাগম কম রাখা, পাশাপাশি মাস্ক পরিধানসহ সাস্থ্যবিধি মানার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিষদের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রকাশ দাশ অসিত, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল দে।