পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনে চবি শিক্ষার্থীরা

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আটকে যাওয়া পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2020, 02:56 PM
Updated : 19 Oct 2020, 02:57 PM

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফোরকানুল আলম বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, যার ফলে আটকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা।

“শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে চলমান ছুটিকে বাড়িয়ে যাচ্ছে, তাতে অনুমান করা যায়, শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। আর কবে খুলবে, তারও নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখা নেই। ফলে আমরা সেশনজটে পড়ে যাচ্ছি।”

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

“ফলে আমরা যারা অসমাপ্ত পরীক্ষা দিতে পারিনি, তাদের কোনো অনলাইন ক্লাসও হচ্ছে না। বাকি পরীক্ষা কবে হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। তাই আমরা এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত প্রশাসনের উদ্যোগ চাই।”

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সায়মা আক্তার জাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রতি শিক্ষাবর্ষ নয় মাসের মধ্যে শেষ হওয়া। প্রতিটি বিভাগ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে পরীক্ষা নিত তাহলে ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক পরীক্ষা অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত।

“সেখানে আমাদের অসমাপ্ত পরীক্ষা থাকতো না। নয় মাসের পরীক্ষা ১৫ মাসে নেওয়ায় আমরা আজ সেশনজটে পড়ে আছি।

“আমাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর শ্রেণির অনলাইন ক্লাস করছে। তারা অনলাইন শিক্ষার সুবিধা পাচ্ছে, কিন্তু আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে  যে সব বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত হয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেসব বিভাগের পরীক্ষা নিয়ে আমাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা।”

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল- যে সব শিক্ষার্থীদের  পরীক্ষার রুটিন হয়েছিল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পরীক্ষার নতুন রুটিন ঘোষণা করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা, হলগুলো শুধু পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া এবং অ্যাডমিট কার্ডের মাধ্যমে হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, হল খুলে না দিলেও নিজ নিজ বিভাগকে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া, যাদের ২বা তিন বা চারটির বেশি পরীক্ষা হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে শেষ হয়ে যাওয়া পরীক্ষাসমূহের মূল্যায়নকৃত গ্রেডের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা।

মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের  শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।