শনিবার নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দুষণমুক্ত করার প্রত্যয়ে দুদিনব্যাপী কার্যক্রমের সমাপনী দিনে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে যে আনন্দময় ও একটি উপার্জনমুখী জীবনধারা দীর্ঘকাল ধরে বিবর্তিত হয়ে আসছে তা আজ অনেকাংশে ঐতিহ্য হারিয়েছে। সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে একটি ইতিবাচক দায়বদ্ধতা পূরণে সচেষ্ট হয়েছি। কর্ণফুলীর সাথে জাতীয় অর্থনীতি প্রাণ প্রবাহের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক মূলত অর্থনৈতিক এবং কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়।
“এই কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে যাদের জীবন-জীবিকা আবর্তিত তাদেরকে আমাদের লক্ষ্য ও অভীষ্টের সাথে একীভূত করতে পারলে কর্ণফুলী নদী বাঁচবে, আমরাও বাঁচব এবং দেশ বাঁচবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি কর্ণফুলী নদী আজ কতটা বিপন্ন এবং দখল ও দূষণের ফলে গভীরতা ও প্রশস্ততা হ্রাস পেয়ে ক্রমশ ক্ষীণকায় হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় কর্ণফুলী নদীর অতীত স্বাভাবিক প্রবহমানতা ও উদ্বেলিত যৌবন ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর ধ্বংসের মুখে পড়বে।
নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড় ইছানগর থেকে নৌকা বাইচ শুরু হয়ে উত্তর তীরের অভয়মিত্র ঘাটে গিয়ে শেষ হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ১০টি দল অংশ নেয়।