এসপিপত্নী মিতু হত্যার আসামি ভোলা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার মামলায় সাড়ে তিন বছরের মতো কারাভোগের পর জামিনে বের হওয়া এহতেশামুল হক ভোলাকে এবার চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2020, 04:09 PM
Updated : 15 Oct 2020, 04:09 PM

বৃহস্পতিবার নগরীর বাকলিয়া থানার ৫ নম্বর ব্রিজ খালপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওই থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানিয়েছেন।

পরে ভোলাকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের ‘যোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত’ ভোলার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, খুন, রাহাজানি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৮টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন জঙ্গিবিরোধী নানা অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের স্ত্রী মিতু। এই মামলায় ওই বছরের ২৮ জুন গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশে অতিরিক্ত উপকমিশনারের দায়িত্ব পালন করে আসা বাবুলের ‘সোর্স’ হিসেবে পরিচিত এহতেশামুল হক ভোলা। সে সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা পয়েন্ট ৩২ বোরের পিস্তলটি মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ভোলার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা করা হয়েছিল। এরপর প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাভোগের পর গত ডিসেম্বরে জামিনে মুক্তি পান ভোলা।

ভোলা সম্প্রতি এক বাড়িওয়ালার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজাখালীতে স্থানীয় মো. এমদাদুল আলমের (৭৫) একটি কলোনি আছে। ভোলা ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় ওই কলোনিতে ভাড়াটিয়া রাখতে হলে মালিক এমদাদুলের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

“বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলা তার সহযোগী আনিসুল হক ও মো. সেলিম আহমদকে নিয়ে কলোনিতে গিয়ে আবারও ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানানোয় নিরাপত্তাকর্মী শরীফুল হক, কলোনির ভাড়াটিয়া মোরশেদ আলম ও শহীদুল রহমানকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে ভোলা ও তার সহযোগীরা”

ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, “এ সময় ভোলা ছোরা দিয়ে এমদাদুল আলমকে আঘাত করতে চায়। তখন কলোনির বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ভোলা ও তার সহযোগীরা চলে যায়।”

এ ঘটনায় এমদাদুল আলম থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ভোলাকে গ্রেপ্তার করলেও তার সহযোগীদের হদিস পায়নি।