চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা: আরও ৬ ‘জঙ্গি’ গ্রেপ্তার

আট মাস আগে চট্টগ্রামের ষোলশহরে ট্রাফিক বক্সে বোমা হামলার ঘটনায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2020, 11:03 AM
Updated : 14 Oct 2020, 01:22 PM

বান্দরবানের কলা বাজার, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ছয় জন হলেন- মহিদুল ইসলাম (২৪), মো. জহির উদ্দিন (২৮), মো. মঈনুদ্দিন (২০), মো. আবু ছাদেক (১৯), রহমত উল্লাহ ওরফে আকিব (২৪), মো. আলাউদ্দিন (২৩)। তারা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি দল নব্য জেএমবির সদস্য বলে এডিসি আসিফ মহিউদ্দিনের ভাষ্য।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট ট্রাফিক বক্সের ওই বিস্ফোরণে দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। বিস্ফোরণে ট্রাফিক বক্সটিতে থাকা সিগন্যাল বাতি নিয়ন্ত্রণের সুইচ বোর্ড ধ্বংস হয়।

ঘটনার একদিন পর হামলার সঙ্গে আইএস যুক্ত বলে জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ দাবি করে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বরাবরের মতই তা অস্বীকার করে বলা হয়, এটা স্থানীয় জঙ্গিদের কাজ।

ওই ঘটনায় ট্রাফিক পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তভার পায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

হামলায় জড়িত সন্দেহে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ মোট চারজনকে এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়। নতুন ছয়জনকে নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল দশ জনে।

ওই হামলা পরিকল্পনা ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে লোহাগাড়া উপজেলার দুবাইপ্রবাসী এক তরুণের সম্পৃক্ততা ছিল বলেও এক আসামির ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির’ বরাতে কাউন্টার টেরোরিজম শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।

কাউন্টার টেরোরিজমের এক কর্মকর্তা বলেন জানান, গ্রেপ্তার জহির এই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’। মূলত সে এবং মোর্শেদ নামে তার এক সহযোগীর নির্দেশেই পুলিশ বক্সে বোমা হামলা হয়েছিল। তারাই বোমা তৈরির সরঞ্জাম কিনে নগরীতে পাঠিয়েছিল বলে আগে গ্রেপ্তার এক জন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।

আর গ্রেপ্তার ছাদেক বোমাগেুলো চট্টগ্রামে আনা ও পুলিশ বক্সে রেখে আসার কাজ করেছিল।

আরও পড়ুন