ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে ‘স্বাধীনতাবিরোধী ইন্ধন’ দেখছেন মাহতাব

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে যারা সরকারের অপসারণ চায় তাদের পেছনে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ইন্ধন আছে বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ডের তিনটি ইউনিটের কার্যকরী কমিটির সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “সমাজ পরিবর্তনে সামাজিক আন্দোলনকে স্বাগত জানাই। তবে এ আন্দোলনের নামে যারা সরকারের অপসারণ চায়, তারাও সামাজিক শত্রু। এ শত্রুর সাথে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে। সবচেয়ে অবাক বিস্ময় যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সুষ্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে তিনি শাহবাগ গরম করছেন। আমি দাবি জানাই এই চিহ্নিত ধর্ষককে গ্রেফতার করা হোক।”

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “ইউনিট পর্যায়ে আজকে আমরা একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিই, কোন অপরাধের সাথে যাদের তিলমাত্র সম্পর্ক আছে তাদের দলে ঠাঁই নেই।

“যারা এতদিন তাদের প্রশ্রয় আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং দলে ঢুকিয়েছেন তাদের নাম ঠিকানা আমার জানা। সুতরাং সাবধান হয়ে যান। দলের মধ্যে বিভেদ ছড়াবেন না। মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবেই।”

সাবেক মেয়র নাছির বলেন, ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন তার বিজয়ের জন্য আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য ও অর্জন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তাহইলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে।”

নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আর্দশিক রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাসী। তাই আমি কখনো আর্দশচ্যুত হইনি এবং হবো না।

“যদি জনগণ আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমার একমাত্র প্রেরণা আমার পূর্বসূরি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পথ অনুসরণ করে নগরবাসীর সেবা করব।”

৯নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওতাধীন এ ইউনিটের হেকিম খন্দকার মো. হোসেন, বি ইউনিটের জুলফিকার আলী মাসুদ, সি ইউনিটের মোমিনুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যকরী কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, মশিউর রহমান চৌধুরী।