বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর আকবরশাহ থানার পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।
গ্রেপ্তার ফারুক চান্দগাঁও খাজা রোডের কসাইপাড়া এলাকার মো. সিরাজের ছেলে।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক মশিউর বলেন, অর্থ লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে গুলনাহার বেগম ও তার ছেলেকে ফারুক হত্যা করেন।
তিনি বলেন, গুলনাহারের বাসায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন ফারুক। গুলনাহার বিভিন্ন খাওয়ার তৈরি করে দিতেন, আর ফারুক সেগুলো বিক্রি করতেন। ব্যবসার টাকা-পয়সা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ফারুক বিভিন্ন সময়ে গুলনাহার ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিতেন।
গত ২৪ অগাস্ট রাতে চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকার বাসা থেকে পুলিশ গুলনাহার বেগম (৩৫) ও তার আট বছর বয়েসী সন্তান রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গুলনাহারের দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ময়ূরী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। রাতে ময়ূরী বাসায় এসে মা-ভাইয়ের লাশ দেখতে পান।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ফারুকের দিকে সন্দেহের তীর ছিল সবার। তবে তিনি পলাতক ছিলেন।
র্যাব কমর্কর্তা মশিউর জানান, হত্যাকাণ্ডের পর ফারুক খাগড়াছড়ি চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামে ফেরেন।
সংবাদ সম্মেলনে গুলনারের মেয়ে ময়ূরী সাংবাদিকদের বলেন, ফারুক প্রায় তার মার সঙ্গে ঝগড়া বাঁধাতেন এবং গায়েও হাত তুলতেন। তার ছোট ভাই রিফাতকে মারতেন ফারুক।
হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগেও ফারুক তাদের বাসায় গিয়ে তার মার সঙ্গে ঝগড়া করেছিলেন বলে ময়ূরী জানান।