সোমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে উপস্থিত সিসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চুক্তিতে এক সারি বসার আসন নির্মাণের কথা ছিল। সেটা না করে দুই সারি আসন নির্মাণ করা হয়। এতে চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে।
“এর মধ্যে এক সারি স্থায়ী আসন আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় তলার দোকানগুলো ভাঙতে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে বিপ্লব উদ্যানে মোট ২৫টি দোকানের উল্লেখ ছিল। এখন দ্বিতীয় তলায়সহ মোট দোকান ৪০টি।”
সেই থেকে ওই উদ্যানের দোকানগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে।
সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রি ফর্ম লিমিটেড ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়।
বিপ্লব উদ্যান ও এর চারপাশের ফুটপাতসহ আনুমানিক এক একর জমি এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০ বছর মেয়াদি ওই চুক্তিতে।
প্রতিষ্ঠান দুটি উদ্যানটি সংস্কার করে একপাশে দোতলা বিপণিবিতান নির্মাণ করে। পরে বিপণিবিতানের দোকানগুলো মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে।
সিসিসি জানায়, দ্বিতল কোনো অবকাঠামো করার বিষয় চুক্তিতে ছিল না।
এছাড়া জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সামনে বসার জন্য স্থায়ী আসন বানানো হয়েছে।
২৫ অগাস্ট পরিদর্শনে গিয়ে প্রশাসক সুজন জানান, দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হবে।
সোমবারের অভিযানে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহায়তা করেন নগর পুলিশের সদস্যরা।