শুক্রবার বিকেলে নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড়ে ওই সমাবেশে অংশ নেয় হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ চট্টগ্রাম নগর শাখার সভানেত্রী রশমি মারমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত সংঘটিত ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
“পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সমস্যা চিহ্নিত করে রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার দায়ী থাকবে।”
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নগর শাখার নেতা জিকা চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শুভ চাক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় শাখার রানাল চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা গত এক মাসে বান্দরবানের লামায় এক পাহাড়ি নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, মহালছড়িতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, তাইদং খওয়া পাড়ায় পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণ, বাঘাইছড়ির সাজেকে এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টা এবং দীঘিনালায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন।
এসব ঘটনার কয়েকটিতে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সালিশের নামে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও সমাবেশে অভিযোগ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা ‘উৎসাহী হচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করা হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, গত বুধবার গভীর রাতে খাগড়াছড়ি গালাবাড়ি ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে নয়জনের একটি দল এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ করে। দুর্বৃত্তরা ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ওই নারীর বাবা-মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এছাড়া ঘরে থাকা আট হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার লুট করে তারা।
এ ঘটনায় ওই নারীর মা খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেছেন বলে সমাবেশে জানানো হয়।