জীবিত আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত: তদন্তে গাফিলতির ‘প্রমাণ’

জীবিত আসামিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত’ দেখিয়ে অব্যাহতির সুপারিশ করে যে অভিযোগপত্র বায়েজিদ বোস্তামী থানা আদালতে জমা দিয়েছিলেন, তাতে ‘গাফিলতির’ প্রমাণ পেয়েছে ঘটনা তদন্তে গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিটি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2020, 11:10 AM
Updated : 16 Sept 2020, 11:17 AM

এর মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দীপঙ্কর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান সিএমপির তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) আলী হোসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার গাফলতিতে এ ভুল হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার মামলা ও এই মামলা আলাদা। দুই আসামির নামে মিল থাকলেও বাবার নাম ও ঠিকানা ভিন্ন।

“আইও মামলা শেষ করার আগে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য স্মারক (এমই) দেয়নি। ওটা দিলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানতে পারতেন মামলার কী অবস্থা। কিন্তু তিনি তা না দিয়ে নিজে নিজে মামলা শেষ করে দিয়েছেন।”

২০১৮ সালে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগে নাতিন জামাইসহ সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

প্রায় এক বছর তদন্ত করে গত বছরের নভেম্বরে মামলার ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে মো. জয়নাল নামে এক আসামিকে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত উল্লেখ করে অব্যাহতির সুপারিশ করে। কিন্তু আসামি জয়নাল তার মামলায় প্রতিনিয়ত হাজিরা দিয়ে আসছেন।

দীর্ঘদিন বিষয়টি অগোচরে থাকলেও করোনাভাইরাসজনিত কারণে বিরতির পর সম্প্রতি আদালতের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে আসামি জয়নালের হাজিরা দিতে আসাটা অনেকের নজরে আসে।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দীপঙ্করকে বরখাস্ত করা হয়। নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উত্তর জোনের উপ-কমিশনারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন সদ্য বিদায়ী সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান।

তদন্ত কমিটি সোমবার প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে।