মঙ্গলবার নগরীর হালিশহরে অবস্থিত ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম’ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেন এর উদ্যোক্তারা।
করোনাভাইরাস মহামরীর মধ্যে আক্রান্ত ও উপসর্গধারীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গত ১৩ জুন নগরীর হালিশর ওয়াপদা মোড়ে প্রিন্স অব চিটাগাং নামক কমিউনিটি সেন্টারে কয়েকজন তরুণ মিলে প্রতিষ্ঠা করেন এই আইসোলেশন সেন্টারটি।
এর আগে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য স্থাপিত দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায়।
হালিশহরের আইসোলেশন সেন্টারের প্রধান উদ্যোক্তা সাজ্জাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সাথে কমিউনিটি সেন্টার মালিকের তিন মাসের চুক্তি ছিল। এছাড়া সেন্টারটি সম্পূর্ণ অনুদানের ওপর পরিচালিত হচ্ছিল।”
রোগী থাকার পরও অর্থের অভাব এবং চুক্তির সময় শেষ হওয়ায় সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেন্টারটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। এতে উদ্যোক্তারা এতদিনকার আয়-ব্যয়ের হিসাবও তুলে ধরা হয়।
আইসোলেশন সেন্টারটিতে শুরুর দিন থেকে এ পর্যন্ত ৭৬২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং উপসর্গধারীদের সেবা দেওয়া হয়েছে।
এ আইসোলেশন সেন্টার পরিচালনার জন্য বিভিন্নজনের কাছ থেকে ৫১ লাখ ৩০ হাজার ১৫টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৪৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
বিভিন্ন খাতে বকেয়া রয়েছে সাত লাখ ৮২ হাজার টাকা।
এখনও তাদের তিন লাখ ৭৮ হাজার টাকার মতো ঘাটতি রয়ে গেছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭২ জন।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮১জন। সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি।