রেলের জমি থেকে ৪৮২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নগরীর দেওয়ানহাট ওভারব্রিজ থেকে মার্শাল ইয়ার্ড পর্যন্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৮২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূর্ব রেলের এক দশমিক ৮৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2020, 12:41 PM
Updated : 10 Sept 2020, 12:41 PM

বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ছাগল রাখার ঘর, টায়ারের ‍দোকান, চা দোকান, গুদাম, বসতবাড়ি এবং মাদক ও জুয়ার আখড়া হিসেবে পরিচিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে টিনশেড ও সেমিপাকা কাঠামো আছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেওয়ানহাট ওভারব্রিজ সংলগ্ন রেললাইনের দুই পাশে রেলওয়ের জমিতে প্রায় ৯২০ জন দখলদার এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছিল।

“পোস্তার পাড়ের স্থায়ী ছাগলের বাজারের একটা বর্ধিত অংশের মত রেলের জমিতে করা হয়। সেখানে ছাগল রাখা হত এবং ব্যবসায়ীরা নিজেরা থাকত। এছাড়া টায়ার ও গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান, টং দোকান ও বিভিন্ন দোকানের মালামাল রাখা হত রেলের জমিতে গড়ে ওঠা স্থাপনায়।”

এখানে রেলের একটি সীমানা দেয়ালের আড়ালে মাদক ও জুয়ার আড্ডা গড়ে তোলার অভিযোগও ছিল বলে জানান তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বলেন, “সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে আগেই ওই এলাকায় মাইকিং করা হয়। ফলে যেসব ছিন্নমূল মানুষ রেললাইনের পাশে বসতি করেছিল, তারা সকাল থেকেই মালামাল নিয়ে সরে যায়। কেউ ‍উচ্ছেদে বাধা দেয়নি।”

৪৮২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলের প্রায় এক দশমিক ৮৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অভিযানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুর করিম, পুলিশ এবং আরএনবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে রেল লাইনের দুই পাশে ও পোস্তার পাড় সংলগ্ন এলাকায় রেলের জমিতে গত কয়েক দশক ধরে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

বিভিন্ন সময় রেলওয়ে উচ্ছেদের অভিযান চালালেও পরে উদ্ধার করা জমি সংরক্ষণে কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই উচ্ছেদের পর আবারও অবৈধ দখলে চলে যায় এসব জমি।