বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।
এছাড়া এসব মামলায় ১৮ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালে নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়। মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আমরা এর বিরোধিতা করি।
“আদালত ৩০ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় ১৮ জনকে জামিন দিয়েছেন।”
কারাগারে পাঠানো আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, যুগ্ম সম্পাদক মো. আবসার উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক লিয়াকত আলী জসিম, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন আলম, সহ-সভাপতি নেজাম উদ্দিনসহ যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
আসামিদের আইনজীবী নাজমুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সবই জাতীয় নির্বাচনের আগে করা গায়েবী মামলা। যেসব ঘটনা উল্লেখ করে মামলা হয়েছিল তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
“আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিন চাইলেও সবাই জামিন পাননি।”
এসব মামলায় ২৫ আসামির সময়ের আবেদন মঞ্জুর এবং ছয়জনের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
এর আগে সোমবার নাশকতার কয়েকটি মামলায় বিএনপির ১১ জনকে কারাগারে প্রেরণ এবং ১৪ জনকে জামিন দেয়া হয়। পরদিন নয়জনকে কারাগারে প্রেরণ এবং ২৮ জনকে জামিন দেন আদালত।
এ নিয়ে চারদিনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৫০ নেতাকর্মীকে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় কারাগারে পাঠানো হলো।