বুধবার শুনানি শেষে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন প্রতিষ্ঠান পাঁচটিকে এ জরিমানা করেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেললাইন প্রকল্পের জন্য মাটি ভরাটের কাজ করতে গিয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাহাড় কাটার কাজ করছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
রামু বাইপাস, ঈদগাহ বাজারসহ কক্সাবাজারের কয়েকটি জায়গায় পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাঁচটিকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোয়াজ্জম হোসাইন বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শুনানি করে এ জরিমানা করা হয়।
জরিমানা করা প্রতিষ্ঠান পাঁচটি হল- আদিব ব্রাদার্স, বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, রিতাজ এন্টারপ্রাইজ, সিস স্টুডিও ও খান ট্রেডিং।
এছাড়া বুধবার শুনানিতে পাহাড় কাটায় কক্সবাজার সদরে শামীম আহমেদকে ৬০ হাজার টাকা, উখিয়ার হেলাল উদ্দিন ও কাওসারকে দুই লাখ টাকা, রামুর আবদুল মালেককে ২০ হাজার টাকা ও বান্দরবান পৌর এলাকার দলিলুর রহমান ও চন্দন বড়ুয়াকে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
৫ শিপইয়ার্ডকে জরিমানা
একইদিন শুনানিতে ছাড়পত্রের শর্ত ভঙ্গ করায় সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত পাঁচটি শিপ ইয়ার্ডকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান মোয়াজ্জম হোসাইন।
সীতাকুণ্ডের আরেফিন এন্টারপ্রাইজকে ১৫ হাজার টাকা, এস এইচ এন্টারপ্রাইজকে ১৫ হাজার টাকা, কিং স্টিলকে ১০ হাজার টাকা, এন বি স্টিলকে ১০ হাজার টাকা এবং কে আর স্টিলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।