মঙ্গলবার সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করে তারা এ দাবি জানান।
‘জনদুভোর্গ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই’ স্লোগানে পরিচালিত ‘নাগরিক উদ্যোগ’ নামের সংগঠনটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) বর্তমান প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
সমাবেশে নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব মো. হোসেন বলেন, “সম্প্রতি এই পার্কের ইজারা চুক্তির ২৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরিবেশবাদীসহ চট্টগ্রামের নাগরিকরা সবাই আবেদন করেছিলেন, এই চুক্তি যেন আর বাড়ানো না হয়। কিন্তু কারও মতামতের তোয়াক্কা না করে আবারও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
“আগে শিশু পার্ক ঘিরে লোহার গ্রিল ছিল। এখন দেওয়া হয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্ন সীমানা প্রাচীর। এজন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য পুরাতন সার্কিট হাউস বাইরে থেকে আর দেখার সুযোগ নাই।”
প্রশাসক সুজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “আপনি জানেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চের আলোচনা বন্ধ করার জন্য শিশু পার্ক নামক এই জঞ্জাল বানিয়েছিল বিএনপি। এই জঞ্জাল সরিয়ে ফেলুন। অপ্রয়োজনীয় এই আত্মঘাতী চুক্তি বাতিল করুন। এটি এখন সময়ের দাবি। চট্টগ্রামবাসী আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।”
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা যখন সূচনা হয় তখন এই চত্বরে নির্মিত হয়েছিল বিজয় মঞ্চ। সেই মঞ্চে সারা দেশ থেকে আসা রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধারা নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতেন। এই মঞ্চেই চর্চা হত মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস।”
১৯৯৪ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউজের সামনের খোলা অংশটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয় ‘ভায়া মিডিয়া সার্ভিসেস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে।
২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর এই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। তখন বিভিন্ন মহল থেকে পার্কটির ইজারা আর না বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
সমন্বয়কারী মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাইদুর চৌধুরী, শফিউল আজম বাহার, নাজিম উদ্দিন, হাজী শের আলী সওদাগর, আবদুর রহমান মিয়া, শেখ মামুনুর রশীদ, মোহাম্মদ সেলিম, সমির মহাজন লিটন, হাসান মো. মুরাদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ, হাসান মুরাদ, আলমগীর ফেরদৌস, সাইফুল্লাহ আনসারী, রকিবুল আলম সাজ্জি, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু প্রমুখ।