চট্টগ্রামে কাউন্সিলরদের শূন্য পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের ‍শূন্য পদে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2020, 02:57 PM
Updated : 7 Sept 2020, 02:57 PM

সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃবিতে এ তথ্য জানিয়ে নগরবাসীকে এই সংক্রান্ত গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রশাসকের মনোনীত সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি উল্লেখ করে অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিবৃতিতে সুজন বলেন, “কোনো ওয়ার্ডে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার অ্যাক্ট (সিটি কর্পোরেশন-২০০৯) অনুযায়ী কাউন্সিলর পদটি এখন শুন্য।

“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত।”

ওয়ার্ড পর্যায়ে ওয়ারিশান, জাতীয়তা সনদপত্র, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র প্রদানে ওয়ার্ডের সচিবদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কাজে তাদেরকে স্থানীয় অভিজ্ঞ, মুরুব্বি, শিক্ষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা গ্রহণেরও পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলেও  বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনে কোনো সহায়ক পরিষদ গঠন করেননি সুজন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন (ফাইল ছবি)

তবে সিসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমকে ১ থেকে ১৪ নং ওয়ার্ড, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়াকে ১৫ থেকে ২৮ নং ওয়ার্ড ও সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীকে ২৯ থেকে ৪১ নং ওয়ার্ডের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কেউ এ সংক্রান্ত গুজব রটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন প্রশাসক সুজন।

এদিকে সোমবার নগরীর দামপাড়ায় ওয়াসা ভবনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে সুজন বলেন, “নগরীতে ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়নে রোড কাটিংয়ের ক্ষেত্রে সমন্বয় না হওয়ায় নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে।”

তাই এসব কাজে সিসিসির সাথে ওয়াসার সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন তিনি।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে পৃথক চিঠি দিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন ও টিউশন ফি আদায়ের বিষয়ে বাস্তবতার নিরিখে নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসক।

চিঠিতে সুজন বলেন, “মহামারীর এই সময়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ মাসিক বেতন ও টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। এই মর্মে ভুক্তোভোগীরা অভিযোগ করেছেন।”

এর প্রেক্ষিতে মাসিক বেতন ও টিউশন ফি আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে বাস্তবতার নিরিখে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে সুচিন্তিত নির্দেশনা প্রদানের জন্য মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন চট্টগ্রামের প্রশাসক।