পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যাচাইয়ের সময় নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের তালিকায় তার নাম পাওয়া যায়।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের দাবি, ওই যুবকের জাতীয় পরিচয়পত্রটি (এনআইডি) জাল।
আটক যুবকের নাম ওবাইদুল হক (২৫)। নথিপত্রে তার বাবার নাম আবুল কালাম ও মায়ের নাম রাবিয়া খাতুন।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে তার এনআইডি তৈরি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাসপোর্টের আবেদন যাচাইয়ের সময় ওবাইদুল হককে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
পাঁচলাইশ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা পাসপোর্টের আবেদন যাচাই করি। একইভাবে এই আবেদনকারীর তথ্য রোহিঙ্গা সফটওয়্যারের (নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের তথ্য সম্বলিত) ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে যাচাই করলে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলে যায়।
“ওবাইদুল হক নামেই সফটওয়্যারে তার তথ্য আছে। তার কাছে এনআইডি কার্ড আছে। সেটি দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেছে। তিনি স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন বলেও জানিয়েছেন। আবার এনআইডি ভেরিফিকেশন সফটওয়্যারেও তার তথ্য আছে। জাতীয়তা সনদও আছে। কাগজপত্র সত্যায়িতও করেছেন।”
মাসুম হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে জানানো হয়। তারা এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওবাইদুল হক নামের ওই ব্যক্তির কাছে যে এনআইডি আছে, প্রাথমিকভাবে যাচাই করে তারা জানতে পেরেছেন যে ওটা ভুয়া।
“এনআইডি কার্ডটিতে ইস্যুর তারিখ ২০১৬ সালের বলে কার্ডে উল্লেখ আছে। কিন্তু সার্ভারে এটির ইস্যুর তারিখ ২০১৯ সাল দেখাচ্ছে। আবার লোহাগাড়া উপজেলায় ২০১৯ সালে যেসব এনআইডি দেওয়া হয়েছে, তার সাথে এটির সিরিয়ালের কোনো মিল নেই।”
তাহলে সার্ভারে ওবাইদুল হকের তথ্য কীভাবে এল- জানতে চাইলে হাসানুজ্জামান বলেন, “আগেও জালিয়াত চক্র যেভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য সার্ভারে ঢুকিয়েছিল এটাও সেভাবে হয়ে থাকতে পারে। সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।”