সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পাটকলগুলো সচল করার দাবি

পিপিপির পরিবর্তে আগের মতোই রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে বন্ধ পাটকলগুলো চালুর দাবি উঠেছে চট্টগ্রামে ওয়ার্কার্স পার্টির এক কর্মসূচি থেকে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2020, 03:07 PM
Updated : 2 Sept 2020, 03:07 PM

বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্র ঘোষিত দাবি দিবসের কর্মসূচি হিসেবে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে চট্টগ্রাম জেলা শাখা।

সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি আবু হানিফ বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই দুঃসময়ে পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া চরম অমানবিক। এতে হাজার হাজার শ্রমিক হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ বাড়িঘরে ফিরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

“মহামারীর সময়ে এমন অমানবিকতা কোনেভাবেই কাম্য নয়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি অবিলম্বে আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যবস্থাপনায় বন্ধ পাটকলগুলো আবার চালু করা হোক। পাশাপাশি আগের শ্রমিক-কর্মচারীদের তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে নিয়োগ দিতে হবে।”

সমাবেশে চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, “করোনাকালে শ্রমিকদের প্রতি এই আঘাত কেবল এ খাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না সকল শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্বিচারে শ্রমিক ছাঁটাইকে তা উৎসাহিত করবে। একই সঙ্গে পাঠশিল্প এবং পাঠ চাষের সাথে সম্পৃক্ত কৃষক ও পাঠভিত্তিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে।” 

জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, “গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে মালিকদের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দিল সরকার। আর সরকারি মালিকানাধীন পাটকলের শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনাই পেল না।”  

বন্ধ পাটকল খুলে দেয়া, শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ, রাষ্ট্রায়াত্ত খাতে রেখেই পাটকলগুলো আধুনিকায়ন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বন্ধ, মহামারীকালে কর্মহীন অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবী মানুষকে ছয় মাসের জন্য নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য মোক্তার আহমদ, আমিন জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা কমিটির সদস্য মনসুর মাসুদ, আবু সৈয়দ বলাই, সুপায়ন বড়ুয়া, অধ্যাপক শিবু দাশ, যুব মৈত্রী চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মহসীন, সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মিয়া, ছাত্র মৈত্রী নগর কমিটির সহ-সভাপতি সাইফুদ্দিন সুজন প্রমুখ।