মঙ্গলবার আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে আ ন ম শামসুল ইসলাম সীতাকুণ্ডের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। এই জামায়াত নেতা সাবেক সাংসদও।
অন্যরা হলেন- আইআইইউসির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আহসান উল্ল্যাহ, বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন মাহবুব রহমান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কাওসার আহমেদ, সাবেক সহকারী প্রক্টর নিজাম উদ্দিন ও কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম।
আহসান উল্ল্যাহ, মাহবুব রহমান ও কাওসার আহমেদও জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আ ক ম সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আত্মসমর্পণ করতে এলে শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, “উচ্চ আদালত আসামিদের ১৮ মার্চের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেও তারা সময় নিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে তখন আর শুনানি হয়নি।
“আজ নির্ধারিত দিনে শুনানি হল। আসামিরা জামিন আবেদন করলেও আমরা এর বিরোধিতা করি।”
চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী কামাল উদ্দিন। তিনি যুবলীগের নেতাও।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৯ জানুয়ারি সকালে আসামিদের প্ররোচনায় ছাত্রশিবিরের ৭০ জন ক্যাডার আইআইইউসি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে গিয়ে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে।
ওই ঘটনায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক) ধারা অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।