সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানান এর উদ্যোক্তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককেও জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আক্রান্ত ও উপসর্গধারীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য জনগণের অর্থে প্রতিষ্ঠা হয় চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের।
সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত নাভানা গ্রুপের একটি পাকা কাঠামোতে ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়। এ হাসপাতালের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
গত ২১ এপ্রিল থেকে এ হাসপাতালে করোনোভাইরাস আক্রান্ত এবং উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছিল।
ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ পর্যন্ত এ হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে করোনাভাইরাস পজিটিভ এবং উপসর্গযুক্ত ১৬১২ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। গত চার মাস ১০ দিনে চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ৩৫ জন নিয়মিত সেবা দিয়ে গেছেন।
বন্ধের কারণ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, “গত ১৫ দিন ধরে আমাদের হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা উপসর্গযুক্ত কোনো রোগী ছিল না। মানুষের অনুদানে এ হাসপাতাল চলত। সে সাহায্যের পরিমাণও কমে আসছিল। সবমিলিয়ে আমরা হাসপাতালের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তবে প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল আবার কাজ শুরু করতে পারে বলে জানান তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ জন। জেলায় এ ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২ জনে।
তবে এর মধ্যে হোম আইসোলেশন ও হাসপাতাল মিলিয়ে জেলায় সুস্থ হয়েছে মোট ১২ হাজার ৬৪৪ জন রোগী।