বিপ্লব উদ্যান: সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ বন্ধ

বিপ্লব উদ্যানে চুক্তির শর্ত ভেঙে করা কাজ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত পার্কের সৌন্দর্য বর্ধনের অন্য কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2020, 05:19 PM
Updated : 26 August 2020, 05:19 PM

বুধবার সিসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম এক নোটিসে ওই উদ্যানের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ পাওয়া দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দেন।

নোটিসে বলা হয়, মঙ্গলবার প্রশাসকের পরিদর্শনে যেসব অসঙ্গতি ও নকশা বর্হিভূত কাজ দেখা গেছে, সেসব সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত পার্কের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।

করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চুক্তির কী কী ব্যত্যয় ঘটেছে তা এ সংক্রান্ত কমিটি দেখবে। তা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত অন্য উন্নয়ন কাজগুলো বন্ধ থাকবে। তবে জনসাধারণ সেখানে যেতে পারবে।”

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিপ্লব উদ্যানের ক্ষেত্রে করপোরেশনের প্রতি অতি অবিচার হয়েছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ২২ গণ্ডা জমি বছরে মাত্র এক লাখ টাকা কর ধার্য করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।”

সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদে ঢাকার রি ফর্ম লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজের এই চুক্তি করা হয়।

কিন্তু চুক্তির শর্ত ভেঙে সেখানে ১৫০ বর্গফুটের বদলে ২০০ বর্গফুটের দোকান, এক তলার পরিবর্তে দ্বিতল অবকাঠামো এবং নকশা বর্হিভূতভাবে স্থায়ী বসার আসন নির্মাণ করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার উদ্যান পরিদর্শন শেষে জানান প্রশাসক সুজন।

এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার ২৫টি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

বিপ্লব উদ্যান ও এর চারপাশের ফুটপাতসহ আনুমানিক এক একর জমি ওই প্রতিষ্ঠান দুটিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ওই চুক্তির মেয়াদ ২০ বছর। 

চুক্তিতে বলা ছিল, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোনোরকম ‘সৌন্দর্যহানি না করে’ ২৫টি স্টল, ২৫টি ডিজিটাল স্ক্রিন, যাত্রী ছাউনি, পাবলিক টয়লেট, ওয়াকওয়ে, আলোকায়ন, ম্যুরাল, বসার স্থান, গ্লাস টাওয়ার, ফোয়ারা, স্কাল্পচার নির্মাণ করবে।

রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার ব্যয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই বহন করবে এবং সিটি করপোরেশনকে বছরে এক লাখ টাকা কর দেবে। পাশাপাশি ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোর জন্য সরকার নির্ধারিত হারে কর দেবে।

সাবেক মেয়র নাছিরের সময়ে করা ৪২টি সৌন্দর্য বর্ধন চুক্তি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছেন প্রশাসক সুজন।

করপোরেশনের আইন শাখার পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এসব চুক্তি করার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে।