সৌন্দর্য বর্ধনে অনিয়ম দেখতে সিসিসির ৩ সদস্যের কমিটি

সৌন্দর্য বর্ধন চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে স্থাপনা নির্মাণ হলে সেগুলো ভেঙে দেওয়া ও চুক্তি বাতিলের ক্ষমতা দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2020, 04:42 PM
Updated : 23 August 2020, 04:42 PM

রোববার সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা সাক্ষরিত এক আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিকে সৌন্দর্য বর্ধন চুক্তির বিষয়গুলো সরেজমিনে যাচাই, চুক্তির শর্ত না মেনে স্থাপনা নির্মাণ হয়ে থাকলে তা ভেঙে অপসারণ এবং কেউ নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করে থাকলে নোটিস দিয়ে চুক্তি বাতিলের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক সিসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, অন্য দুই সদস্য হলেন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম ও সহকারী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে সিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৪২টি চুক্তির সবগুলো সরেজমিন দেখে চুক্তির শর্ত মানা হয়েছে কিনা তা কমিটি যাচাই করে দেখবে।

“চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হলে সেগুলো ভেঙে দিতে পারবে বা চুক্তি বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবে কমিটি। তারা পরিদর্শন করে সব ব্যবস্থা নেবেন। এজন্য কিছু সময় লাগবে।”

সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদে ২০১৬ সাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৪২টি সৌন্দর্য বর্ধন কাজ পায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সিসিসি’র নতুন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব গ্রহণের পর এসব সৌন্দর্য বর্ধন কাজে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইন শাখাকে দায়িত্ব দেয়।

সিসিসি’র আইন শাখা সবগুলো চুক্তি যাচাই করে ১৯ অগাস্ট প্রশাসকের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, এস্টেট শাখার মাধ্যমে চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

এসব চুক্তির ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুসারে সভায় অনুমোদন নেয়ার বিধান থাকলেও তা হয়নি। নগর পরিকল্পনা শাখার মাধ্যমে চুক্তি করা হলেও এ বিষয়ে কোনো দাপ্তরিক রেজলুশেনও করা হয়নি।

এসব চুক্তির পর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটি ফুটপাতে দোকান, নালার উপর অ্যাকুরিয়াম, যাত্রী ছাউনিতে স্টল, এটিএম বুথ, ফুটপাতে রেষ্টুরেন্ট ও ওষুধের দোকান, ফুটওভার ব্রিজে স্টল, গাড়ি পার্কিং এর স্থানে দোকান, গণশৌচাগার ও ডিজিটাল স্ক্রিন স্থাপন করে।

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকর্মীর প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসব সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ পায়।