সোমবার বিকেলে নগরীর দোস্ত বিল্ডিং এ দলীয় কার্যালয়ে ‘সন্ত্রাস বিরোধী দিবস’ উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
‘সন্ত্রাস নির্মূল কর, বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ কর’ স্লোগানে এই দিনটি পালন করে ওয়ার্কার্স পার্টি।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দলটির চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বলেন, “ওয়ার্কার্স পার্টি শুরু থেকে সবসময় সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের বিচারের দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে সন্ত্রাস দমনের নামে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ এর নাম দিয়ে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। ওই সব হত্যকাণ্ডের যাতে বিচার কেউ করতে না পারে সেজন্য দায়মুক্তি আইনও পাস করা হয়।
“গত ১২ বছরে ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার, আত্মরক্ষার্থে গুলির ইত্যাদি নানা নামে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ তো হয়নি বরং অপরাধ দমনের সাধারণ কৌশলে পরিণত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এসব বিচারবর্হিভূত হত্যা, গুম ও গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির না করা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ধারার লঙ্ঘন। এ ধরণের কৌশল রাষ্ট্র, রাষ্ট্রযন্ত্র ও সমাজকে বিপদাপন্ন করে ফেলে।
“ব্যক্তির আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ‘সন্ত্রাস বিরোধী দিবসে’ সব ধরণের বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও সন্ত্রাসের গডফাদারদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
১৯৯২ সালে রাজধানীর দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননের ওপর গুলি চালায়। আহত অবস্থায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) নেওয়া হয়। পরে বিদেশ গিয়ে উন্নত চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসেন।
আবু হানিফ বলেন, “২৮ বছর পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এই হত্যাচেষ্টার বিচার হয়নি। বিএনপি সরকার ও সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জনরোষ ও প্রতিবাদের মুখে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আততায়ী ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই বিচার আজও হয়নি।”
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দিদারুল আলম চৌধুরী, মোক্তার আহমদ, আবু সৈয়দ বলাই ও অধ্যাপক শিবু দাশ।