১২ দিন পর চট্টগ্রাম থেকে সংবাদপত্র প্রকাশ

টানা ১২ দিন বন্ধ রাখার পর চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সব সংবাদপত্র শনিবার প্রকাশিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2020, 05:30 AM
Updated : 15 August 2020, 05:30 AM

শনিবার সবগুলো পত্রিকা প্রকাশের আভাস দেওয়ার পর আগের দিন শুক্রবার বিকালে বিএফইউজে’র মহাসচিব শাবান মাহমুদের নেতৃত্বে সিইউজে’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ সদস্যের একটি দল দৈনিক আজাদী সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠক শেষে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান হয়েছে।

আর দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, বৈঠকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন।     

পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাসের দাবিতে গত ২৯ জুলাই দৈনিক আজাদীর মালিক ও সম্পাদক মালেকের বাসা ঘেরাও করে সমাবেশ করে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।

বাসার সামনে সমাবেশ করাকে নজিরবিহীন ও অশোভন উল্লেখ করে পরদিন থেকে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পাঁচটি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ রাখে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন ‘নিউজ পেপার অ্যালায়েন্স (সিএনএ)’।

দৈনিক আজাদীর সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার আজাদী কর্তৃপক্ষ শনিবার থেকে তাদের পত্রিকা প্রকাশের আভাস দিয়েছিল।

তবে চট্টগ্রামের আরেকটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পূর্বকোণের ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’ সমাধান হলেই সব পত্রিকা এক সঙ্গে প্রকাশিত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন আজাদী সম্পাদক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শুক্রবার রাতে মালেক বলেন, “এই পর্যন্ত যা হয়েছে তার জন্য তারা (সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ) দুঃখ প্রকাশ করেছেন।”

এদিকে আজাদী ইউনিটের সাংবাদিকদের সিইউজে থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি বলবৎ থাকার কথা জানান তিনি।

এদিকে সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলছেন, আজাদী ইউনিটের সংবাদিকদের সংগঠন থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ কোনো পদত্যাগপত্রও জমা দেয়নি।  

সম্পাদকের বাসা ঘেরাও কর্মসুচির পর চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক পূর্বদেশ, সুপ্রভাত বাংলাদেশ, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকাগুলো মোট ১২ দিন প্রকাশ বন্ধ রেখেছিল।

গত মার্চ মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোরও বিক্রি কমে আসে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। এই অবস্থায় দেশের গণমাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞাপনের পরিমাণও কমে গেছে।

লোকসানের ধাক্কা সামাল দিতে প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ রাখে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দুই ঈদের ৫০ শতাংশ বোনাস কাটাসহ সাংবাদিকদের বেতন কমানোরও সিদ্ধান্ত নেয়।

২৯ জুলাই আজাদী মালিকের বাসা ঘেরাওয়ের পর ৩০ জুলাই সকালে দৈনিক পূর্বকোণ ও বিকালে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার মালিক-সম্পাদকের বাসা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা ছাড়া পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়ায় সিইউজে’র পক্ষ থেকে অন্য কর্মসুচিগুলো স্থগিত করা হয়।