বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেইট মোড়ে বিমানের কার্যালয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে আবুধাবী ও দুবাইয়ে যেতে হাজারখানেক যাত্রী টিকেটের জন্য ভিড় করলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সবাই বিদেশ যাত্রার টিকিটের জন্য আসলেও পর্যাপ্ত টিকেট না থাকায় তারা তা পাচ্ছিলেন না।
এ মহামারীকালে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে সীমিত পরিসরে বিমান যোগাযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামের যাত্রীদের ঢাকা গিয়ে সেসব ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, টিকিটের জন্য বুধবার ভোর থেকেই বিমান কার্যালয়ে ভিড় হয়। ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়। লাইনে দাঁড় করিয়ে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করলেও বেলা বাড়তে থাকার পর থেকে ধাক্কাধাক্কি এবং এক পর্যায়ে বিমান কার্যালয়ের বাইরে কাচের দরজা ভাংচুর করেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভুইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টিকেটের জন্য অন্যান্য দিন ৩০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক এলেও বুধবার আসে এক হাজারেরও বেশি। আগের দিন পাঁচশর মতো লোক এসেছিল।
“যারা এসেছেন তাদের আগে থেকে বুকিং ছিল অথবা নতুন করে টিকিট নেওয়ার জন্য আসেন। যত টিকেট প্রত্যাশী ছিল চাহিদা অনুযায়ী বিমান কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করতে পারছিল না। সে কারণে অফিসের মূল কাউন্টারের বাইরে ধাক্কাধাক্কি ও বাইরের কাচ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।”
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের হিসেবে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশে প্রায় এক লাখ অভিবাসী আটকা পড়েছেন।
কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ফ্লাইট সংখ্যা কম থাকায় টিকেটের চাহিদা বেশি বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
তিনি বলেন, “কিছু লোক ছুটি নিয়ে এসে আটকে গেছে, কিছু বেড়াতে এসে আটকে গেছে। আবার অনেকের পরিবার পরিজন বিদেশে রয়েছে। মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে আটকে আছেন। সে কারণে টিকেট প্রত্যাশীদের চাপ রয়েছে।”