১৬ বছর বয়েসী এক কিশোর বৃহস্পতিবার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সে বয়সে বড় হলেও রাসেলের সাথে চলাফেরা করত বন্ধুর মতো। রাসেলের লাশ উদ্ধার থেকে শুরু করে দাফন পর্যন্ত সবকিছুতেই সাথে ছিল।
“ওই কিশোরকে আটকের পর সে রাসেলকে হত্যা করার ঘটনা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।”
৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় জালালাবাদ হাশেম করপোরেশনের পাহাড় থেকে ১৩ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া রাসেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার বলেন, রাসেল ও গ্রেপ্তার ওই কিশোর একসাথে চলাফেরা করলেও তাদের মধ্যে বিভিন্ন কিছুতে মারামারিও হতো।
“কিছুদিন আগে রাসেল তার মা ধরে গালি দেয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সে ক্ষোভ থেকে সে রাসেলকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে।”
একসাথে গিয়ে ছুরি কিনেছিল দুই কিশোর
পরিত্রাণ তালুকদার জানান, ৩১ জুলাই এই কিশোর রাসেলকে সাথে নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে একটি ছুরি কিনেছিল। সেটি নিয়ে তারা জালালাবাদ এসে মনির মার প্লট নামে একটি জায়গায় এসে গল্প করেছিল।
সন্ধ্যায় ওই কিশোর রাসেলকে তার সাথে হাশেম করপোরেশনের পাহাড়ে যাওয়ার প্রস্তাব করে। রাসেল কারণ জানতে চাইলে সেখানে চার হাজার টাকা রাখা আছে বলে জানায় গ্রেপ্তার হওয়া কিশোর।
“পাহাড়ে গিয়ে তারা দুই জন টাকা খুঁজছিল। পরে রাসেলকে একটি প্যকেট দেখিয়ে তা নিতে বলে। রাসেল নেওয়ায় জন্য মাথা নিচু করলে তখন তাকে পেটে ছুরিকাঘাত করে।”
ওসি প্রণব বলেন, রাসেলকে হত্যা করে ওই কিশোর বাসায় গিয়ে কাপড় পাল্টে ফেলে। পুলিশ এসব কাপড় উদ্ধার করেছে।
“হত্যাকাণ্ডের পর সে ছুরিটি পাহাড়ের পাশে একটি ঝিলে ফেলে দিয়েছে। ছুরি উদ্ধারসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।