বৃহস্পতিবার বিকেলে পরির্দশনে গিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে রাস্তায় যত গর্ত রয়েছে তা ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করতে এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে অবশ্যই নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন তিনি। এর আগে সকালে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুজন।
প্রায় আড়াই বছর আগে শুরু হয়ে এই সড়কের একাংশের কাজ এখনও চলমান। বর্ষায় ভাঙা রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এই সড়কে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
“বিগত দিনে যে সময় গড়িয়েছে এখন আর সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। এই সড়কে আগামী ৫ দিনের মধ্যে রাস্তায় যত গর্ত রয়েছে তা ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী ও আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে অবশ্যই কাজ সম্পাদন করতে হবে।”
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সুজন বলেন, “আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি সর্বোচ্চ সততার মাধ্যমে পালন করতে চাই। আপনারাও আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততার সাথে পালন করবেন।
এর আগে বিদায়ী মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গত ৪ জুলাই পরিদর্শনে গিয়ে পিসি রোডের ওই অংশের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান।
পিসি রোডের তাসফিয়া থেকে সাগরিকা মাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার অংশের কাজের জন্য ৪০ কোটি টাকা এবং সাগরিকা মাজার থেকে অলংকার পর্যন্ত দশমিক ৭৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় করছে জাইকা।
পিসি রোড ধরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হওয়া অধিকাংশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও লরি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দিকে চলাচল করে।
গত বছরের মে মাসে পিসি রোডের নিমতলা থেকে তাসফিয়া অংশের কার্পেটিং শুরু হয়। সে কাজ শেষ হয় কয়েক মাস পরে।
এরপর সড়কটির নয়াবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বছরের মাঝামাঝি থেকে সড়কটিতে যান চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
তারপর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাইকার অর্থায়নেই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে।
কয়েক দফায় সময় বাড়িয়ে প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এরমধ্যেও কাজ শেষ হয়নি।
এদিকে বর্ষায়ও সড়ক নির্মাণের কাজ চলায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা। সমালোচনার মুখে বিদায়ী মেয়র নাছির জুন ও জুলাই মাসে কয়েক দফা পরিদর্শন শেষে নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
পাঁচ দশমিক সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২০ ফুট প্রস্থের পিসি রোডটি নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে প্রায় একশ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার পরিদর্শনের সময় সিসিসির প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, ঠিকাদার মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক মো আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।