নগরীর খুলশী থানাধীন সেগুনবাগান এলাকা থেকে দুই ধর্ষককে মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান নগর পুলিশের বায়েজিদ জোনের সহকারী কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার।
গ্রেপ্তার দুই ধর্ষক হলেন- সেগুনবাগান এলাকার ৫ নম্বর লেইনের কামাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ লিটন (৩৭) এবং লালখানবাজার তুলা পুকুরপাড় এলাকার শাহজাহান সরদারের ছেলে সোহেল রানা রাজু (২৮)।
এছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতা করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওমর ফারুককে (৪৬)।
লিটন একসময় খুলশী এলাকার একটি বাসায় গাড়িচালক ছিলেন। এখন তার মালিকানাধীন একটি বাস নোয়াখালী রুটে চলাচল করে। আর সোহেল রানা বাসচালক। ওমর ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বায়েজিদ থানাধীন ধ্বনি পাহাড় এলাকার ১৩-১৪ বছর বয়েসী তিন কিশোরী বাসায় পরিবারের ওপর রাগ করে বেরিয়ে যায় গত ২৯ জুলাই।
“টাইগারপাস এলাকায় ওইদিন রাতে তাদের ঘুরতে দেখে অপরিচিত এক লোক তাদের সাথে কথা বলে ভাব জমায় এবং রাতে থাকার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করবে আশ্বস্ত করে। ওই সময়ে মোটর সাইকেলে আসা দুই যুবক কিশোরীদের অটোরিকশায় তুলে খুলশী আবাসিক এলাকার তিন নম্বর রোডের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওসি প্রণব বলেন, “তাদের ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দুই যুবক ধর্ষণ করে ভোরবেলা পালিয়ে যায়। সকালে তিন কিশোরী বাসায় ফিরে পরিবারকে ঘটনা জানালে খুলশী থানায় অভিযোগ করা হয়।”
পুলিশ ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যে বাড়িতে কিশোরীদেরকে ধরষণ করা হয়েছিল, ৩০ জুলাই সেই বাড়ির প্রহরী ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করে। তার মোবাইলের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি জানান, খুলশীর ওই বাড়ির মালিক প্রবাসী হওয়ায় সেখানে প্রহরী ছাড়া কেউ থাকত না। ধর্ষক লিটন আগে ওই বাড়িতে গাড়িচালক ছিলেন। সে সুবাদে ওমর ফারুকের সঙ্গে তার পরিচয়।
গ্রেপ্তার দুই ধর্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।