নতুন ঘরে ‍উঠল ওরা ছয় ত্রিপুরা পরিবার

চাবি বুঝে নিয়ে নতুন ঘরে উঠেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের দুর্গম মনাই ত্রিপুরা পাড়ার ছয়টি পরিবার।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2020, 06:13 PM
Updated : 31 July 2020, 06:41 PM

শুক্রবার দুপুরে ছয় পরিবারের সদস্যদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।

ঘর পাওয়ারা হলেন- মোহন ত্রিপুরা, খড়িয়া ত্রিপুরা, রাধারাম ত্রিপুরা, বানী কুমার ত্রিপুরা, শচীরং ত্রিপুরা ও রবিন ত্রিপুরা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচি’র আওতায় এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

এসব ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি শৌচাগার। আর প্রতিটি ঘর বানাতে খরচ হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা।

সোনাই ত্রিপুরা পাড়া উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের অধীন। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের পাদদেশে এই পাড়ায় ৫৭টি পরিবারের বসবাস।

এর আগে ২৭ মে দুর্যোগ ব্যবস্থানা অধিদপ্তরের অর্থায়নে আরো ছয়টি পরিবারকে নতুন পাকা ঘর দেওয়া হয়েছিল।

ইউএনও রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “পাহাড়ের পাদদেশে ভগ্নপ্রায় কাঁচা ঘরে ত্রিপুরা পাড়ায় এই ১২টি পরিবার বসবাস করত।

“ত্রিপুরা পাড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করা হলে ১০টি ঘরের জন্য বরাদ্দ মেলে। এর মধ্যে ছয়টি আজ হস্তান্তর করা হলো। বাকি চারটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।

এই এলাকার দায়িত্বে যোগদানের পর ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় যাওয়ার কথা জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, “এখানকার বাসিন্দাদের মূল পেশা কৃষি কাজ ও পাহাড়ে কাঠ কাটা। পাড়ার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি ছিল মাটির। এতে বাসিন্দাদের ভয়ানক দুর্ভোগ পোহাতে হত।”

তাদের জীবনমান উন্নয়নে ইতোমধ্যে দুই কিলোমিটার রাস্তা, সৌর বিদ্যুৎ, বিদ্যালয়, টিউবওয়েল, শৌচাগার ও খেলার মাঠ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।  

ইউএনও বলেন, সেখানকার স্কুলে প্রায় একশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। শিক্ষার্থীরা একটি বড় অংশ শিক্ষাবৃত্তিও পেয়েছেন।

‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ (সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।