গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের পর ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর শূন্য হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। তখন থেকেই তারা ক্যাম্পাসের অর্ধশত কুকুরকে নিয়মিত খাবার দিচ্ছেন।
ক্যাম্পাস ও তার আশেপাশে বাস করা এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়লেও বাড়ি যাওয়া হয়নি নওরিনের। জনশূন্য ক্যাম্পাসে অভুক্ত অবস্থায় থাকা কুকুরগুলোকে তিনিই খাবার দেওয়া শুরু করেন।
নওরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মানুষের সঙ্গে কুকুর-বিড়ালগুলোও সংকটে পড়েছে। এই প্রাণীগুলোকেও বাঁচিয়ে রাখা দরকার।
“কুকুর খাবার না পেলে মানুষের জন্যও হুমকি হতে পারে। ক্ষুধার্ত কুকুর আক্রমণও করতে পারে। তাছাড়া কুকুর বিড়ালকে আমি ভালবাসি।এই চিন্তা ভাবনা থেকেই এদের খাবার দিচ্ছি।”
তিনি বলেন, প্রথমে তিনি আর মনিরুল ইসলাম মুন্না ছিলেন। এরপর অনু কৃষ্ণ সাহা মিলে তারা তিনজন অনেক দিন খাবার দিয়ে আসছিলেন।
প্রতিদিন এসব প্রাণীদের খাবার জোগাড় হয় কীভাবে- জানতে চাইলে নওরিন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুকুরকে খাবার দেওয়ার বিষয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে আমাদের বিকাশ নাম্বার দেওয়া আছে। অনেকে বিকাশের মাধ্যমে সাহায্য করে। আবার নিজেদের ফান্ড থেকে বাজার করে রান্না করা হয়।”
এখন দুই দিনে একবার রান্না করে খাবার দেওয়া হয় কুকুরগুলোকে। পাশাপাশি দিনের বিভিন্ন সময় হালকা খাবারও দেন তারা।
“কারও সহযোগিতা না পেলে নিজেদের টাকা দিয়েই বাজার করি। তাই মাঝে মধ্যে সংকটে পড়তে হয়।”
এ তরুণদের আরেকজন চট্টগ্রাম টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পশুপ্রেমী নওরিন আপু এদের খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিলে আমরাও তাতে সহযোগিতা করি। মূলত পশুদের প্রতি মায়া ও ভাললাগা থেকেই কাজটা করছি।”
“আমরা চাই এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে। মানুষের সহযোগিতা পেলে সেটা সম্ভব হবে,” বলেন নওরিন।