শনিবার গভীর রাতে আবুল মনসুর (৬৯) মারা যান।
আবুল মনসুরের হৃদরোগ ছিল। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় তিনদিন আগে তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার রাতে তার হার্ট অ্যাটাক হয়।
রোববার বিকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জানাজা ও দাফন শেষে নগরীর গরীব উল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নগরীর ও আর নিজাম রোড জামে মসজিদে জানাজার আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মনসুরকে গার্ড অব অনার দেয়।
জানাজায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।
“হাসপাতালে দেখতে যেতে চাইলে তিনি নিষেধও করেন। শনিবার রাত দুইটার দিকে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। তিনি এফএফ এর গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালে হাটহাজারী-ফটিকছড়ি অঞ্চলে প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধে অংশ নেন।”
আবুল মনসুর ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তিনি নাজিরহাট কলেজের ভিপি ছিলেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমাণ্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মনসুরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ।
পৃথক শোক বার্তায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের কমাণ্ডার মোজাফফর আহমদসহ নেতৃবৃন্দ শোক জানান।