রোববার দুপুরে ‘পাটকলের সাধারণ শ্রমিকবৃন্দ, চট্টগ্রাম অঞ্চল’ নামের এই ব্যানারে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণের এক বিপর্যস্ত সময়ে পাটকলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ করা হল। হাজার হাজার শ্রমিক হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়লেন। তাদের জীবন-জীবিকা এক মহা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
“এই অবস্থায় শ্রমিকদের দাবি পিপিপি নয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেন মিলগুলো চালু করা হয় এবং সেখানে বর্তমান শ্রমিকদেরই রাখা হয়। পাটকলগুলোর লসের জন্য দায়ী বিজেএমসির কতিপয় কর্মকর্তা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। পাটশিল্পকে বাঁচাতে হলে শ্রমিকদের নিয়েই বাঁচাতে হবে।”
সমাবেশে আমিন পাটকল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, “এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা হচ্ছে। অনেকের বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে। এই দুর্দিনে পাটকলের শ্রমিকরা কোথায় যাবে। মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা চাই ঈদুল আজহায় শ্রমিকদের বোনাস দেয়া হোক।
“২০১১-১২ সালে যারা চাকরিতে যোগ দিয়েছে তাদের চাকরির বয়স মাত্র ৮-৯ বছর। তারা আড়াই লাখ টাকা গ্র্যাচুইটি পাবে। এই অল্প টাকায় তারা কী করবে? প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ পিপিপি নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে মিলগুলো পরিচালনা করে এই শ্রমিকদের পুনর্বহাল করা হোক।”
তিনি বলেন, “পিক্স রেট (উৎপাদন ভিত্তিক) ও টাইম রেট সব শ্রমিককে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট চারটি করে কম দেয়া হয়েছে। সেগুলো দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
সমাবেশ থেকে জানানো অন্যান্য দাবিগুলো হলো- এনআইডি নয় চাকরির নথি অনুসারে পাওনা পরিশোধ, পিক্স রেট (উৎপাদন ভিত্তিক) শ্রমিকদের ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুসারে সব গ্র্যাচুইটি দেয়া, ২০১৫ সালের বর্ধিত মজুরি কমিশন ১০ শতাংশ হারে মূল মজুরি কমিশনের এরিয়ার থেকে পিএফ এ যোগ করা, ঈদুল আজহায় বোনাস দেয়া, ঘোষিত নীতিমালা অনুসারে দ্রুত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমিন জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান, আমিন জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি আবদুল মোতালেব।