গ্রেপ্তার মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (৩৫) বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের পাইরাং গ্রামের জাকির আহম্মদের ছেলে। তিনি নগরীর খুলশী থানার আলফালাহ গলির বাসিন্দা।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকার রোকেয়া করিমের (৬০) অভিযোগের প্রেক্ষিতে লিয়াকত আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. আবুল কাশেম ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছরের অক্টোবরে নিজের ছেলে ও পুত্রবধূর দাম্পত্য সমস্যার নিরসনে ‘আধ্যাত্মিক সমাধানের’ জন্য লিয়াকত আলীর কাছে গিয়েছিলেন রোকেয়া করিম।
“এজন্য কয়েক দফায় সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয় লিয়াকত। এরপর রোকেয়া বেগমের বাড়ির পাশে তার দেবরের জমিতে গুপ্তধন আছে- এমন গল্প ফেঁদে তা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন ওই প্রতারক।”
এ ঘটনায় রোকেয়া করিমের করা মামলার বিবরণে বলা হয়, লিয়াকত আশ্বাস দিয়েছিলেন, ওই জমিতে সোনা ভতি পাতিল পাওয়া যাবে, যার দাম হবে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।
ওই পাতিলের অর্ধেক সোনা লিয়াতক আলীকে দিতে হবে- এই মর্মে তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে রোকেয়ার স্বাক্ষরও নেওয়া হয় তখন।
ওসি কাশেম ভুঁইয়া বলেন, “লিয়াকত ওই গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে রোকেয়া করিমের কাছ থেকে কয়েক দফায় ৬৫ লাখ টাকা নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।”
সবশেষ ১২ জুলাই আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন লিয়াকত আলী। এরপর রোকেয়া করিম থানায় অভিযোগ করেন।
ওসি বলেন, রোকেয়া করিমের কাছ থেকে নেওয়া টাকার মধ্যে ৪০ লাখ টাকা লিয়াকত তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য দেন। কিন্তু সেই স্ত্রী নানা পারিবারিক জটিলতায় তাকে ছেড়ে চলে গেছেন বলে লিয়াকত জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন।