বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরশাহ চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় পাইপলাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিদ্যমান পাইপলাইন অনেক পুরনো হওয়ায় পানি সরবরাহে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। নতুন পাইপলাইন স্থাপন শেষে পানি সরবরাহ এবং ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
“২০২২ সালের মধ্যে ৭০০ কিলোমিটার নতুন পাইপ লাইনে যুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসায়। পরবর্তী ধাপে ১২০০ কিলোমিটার পাইপ লাইন সংযোজনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন লাইনে যুক্ত হবে পুরো নগরী। তখন ২৪ ঘণ্টাই নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে।”
একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, “আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ চালু হলে চট্টগ্রাম ওয়াসায় পানির উৎপাদন আরও ১৪ কোটি লিটার বাড়বে। তখন দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানির সরবরাহ হলে পানির চাহিদা শতভাগ পূরণ হবে।
কিছুদিনের মধ্যে সুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে জানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “১৯৬৩ সালে ওয়াসা প্রতিষ্ঠা হলেও চট্টগ্রামে সুয়ারেজ ব্যবস্থা ছিল না। দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রামবাসীর এ দাবিও পূরণ হওয়ার পথে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম নগরী পুরোপুরি পরিকল্পিত স্যানিটেশনের আওতায় আসবে। নিরাপদ পানির উৎস হালদা ও কর্ণফুলী নদী দূষণমুক্ত থাকবে।”
চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি স্বপন কুমার মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সোসাইটির সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।
বক্তব্য রাখেন ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসীন কাজী, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) তাহেরা ফেরদৌস বেগম, প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, সচিব শারমিন আলম, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, এনটিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ শামসুল হক হায়দরী ও সোসাইটির সদস্য সুখময় চক্রবর্তী।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটিতে পানি সরবরাহের জন্য পাইপ ও রিজার্ভার স্থাপন করা হচ্ছে।