পতেঙ্গায় বিদ্যানন্দের সহযোগিতায় ফিল্ড হাসপাতাল

করোনাভাইরাস সংক্রমিতদের চিকিৎসা দিতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উদ্যোগে পতেঙ্গা এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ১০০ শয্যার একটি ফিল্ড হাসপাতাল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2020, 03:01 PM
Updated : 29 June 2020, 03:01 PM

আগামী বুধবার হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করছে বলে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ওই ফিল্ড হাসপাতালে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা চারটি ওয়ার্ড নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় বেড স্থাপন, চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ৫০ শয্যা দিয়ে শুরু হলেও এটি অতি দ্রুত ১০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হবে। আপাতত আগামী তিন মাসের প্রস্তুতি নিয়ে চালু হচ্ছে হাসপাতালটি। এটি চালুর জন্য ব্যক্তি পর্যায় ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সঙ্গে ‘সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।

নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও সিএমপি কর্মকর্তারা জানান, এজন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি দল ভিডিও কনফারেন্সিংসহ নানাভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন। এর সাথে সারাদেশ থেকে আসা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী হাসপাতালটিতে সেবা দিবেন।

এ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, “করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অবদান রেখে যাচ্ছেন। অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে এ মহামারীর শুরু থেকেই জনগণের পাশে থেকে মানবিক কাজ করছে।

“কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসাসেবা আরও বেগবান করার জন্য এ উদ্যোগ, যা নিঃসন্দেহে জনগণকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে শুধু চিকিৎসা সেবাই দিবে না বরং আরো মানবিক হতে উদ্বুদ্ধ করবে।”

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাশ বলেন, “কিছুদিন আগে এক ছবিতে হাসপাতালের বেডের জন্য ঘুরতে ঘুরতে এক রোগীকে রাস্তায় মরতে দেখে খুব হতাশ হই। তখনই মনে হলো যাদের সুযোগ আছে তাদেরই এগিয়ে আসা উচিত। তাই একটা ভালো উদাহরণ তৈরি করতে চাওয়া থেকে এ হাসপাতাল তৈরি।”