শনিবার দুপুরে বাকলিয়ার তুলাতলিতে ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ৭০ শয্যার ‘মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার’ এর যাত্রা শুরু হয়।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, “উনি (রেজাউল করিম চৌধুরী) এখনও কোনো দায়িত্বে না থেকেও এগিয়ে এসেছেন। এটা অনেক বড় মানসিকতার পরিচয়।
“উনার কাছে আবেদন থাকবে, নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে যেন একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেন। সারা দেশের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেই প্রথম স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আরবান হেলথ কেয়ার করেছেন। অনুরোধ করব, নির্বাচিত হলে যেন সে ধারা অব্যাহত রাখেন।”
চট্টগ্রামে হাসপাতালের সংখ্যা কম উল্লেখ করে নগরবাসীকে অসুস্থ হলেই হাসপাতালে না ছুটে আগে আইসোলেশন সেন্টারে আসার আহ্বান জানান নওফেল।
নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রামের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো সরকারের এত নির্দেশনার পরও মানুষের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করছে না। রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছে।
“এসব দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। নিজে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করেছি এ সময় মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। এজন্য উদ্যোগটি নিয়েছি. যাতে মানুষকে অক্সিজেনসহ ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা দিতে পারি।”
তিনি জানান, এই আইসোলেশন কেন্দ্রে কোভিড রোগীদের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও সেবা দেওয়া হবে।
এখানে রোগীরা সব সেবা পাবেন বিনামূল্যে বলেও জানান তিনি।
এসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বিএমএর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ শফিউল আজম ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ন ম মিনহাজুর রহমান, সাবেক সিভিল সার্জন সরফরাজ খান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই আইসোলেশন কেন্দ্রটি আটজন ডাক্তার, ১৬ জন নার্স, আটজন ওয়ার্ড বয়, দুইজন আয়া, দুইজন ক্লিনার ও চারজন সিকিউরিটি গার্ড নিয়ে কাজ শুরু করেছে।