চট্টগ্রাম মেডিকেলের চিকিৎসক সমিরুলকে বাঁচানো গেল না

প্লাজমা থেরাপিসহ বেশ কিছু দিনের চিকিৎসায় করোনাভাইরাস মুক্ত হলেও শেষ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2020, 12:18 PM
Updated : 24 June 2020, 12:55 PM

বুধবার বেলা ২টার দিকে চট্টগ্রামের বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তার বন্ধু ও স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মিনহাজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে পরিস্থিতির অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছিল।

“গত ২৬ মে ডা. সমিরুল ইসলামকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। তিনিই প্রথম কোনো ব্যক্তি যাকে চট্টগ্রামে প্লাজমা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালের কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”

ডা. মিনহাজ বলেন, দীর্ঘ চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হওয়ার পথে ছিলেন, করোনাভাইরান পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ এসেছিল। তবে বুধবার সকাল থেকে তার ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং আইসিইউতে স্থানান্তর করে পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সমিরুল ইসলামের স্ত্রী মুনা ইসলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি ও তার দুই সন্তানও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।

চট্টগ্রামে ভদ্র ও সজ্জন হিসেবে পরিচিত চিকিৎসক সমিরুল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে নিজে আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত একদিনও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান থেকে বিরত ছিলেন না।