চাঁদা না পেয়ে ভাংচুর, চবিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের নির্মানাধীন ভবনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করে কার্যালয় ভাংচুরের পর নির্মাণ কাজটি বন্ধ হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2020, 03:20 PM
Updated : 23 June 2020, 03:20 PM

নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়কের বলছেন, ছাত্রলীগ পরিচয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার থেকে ওই ভবনের নির্মাণ কাজ স্থগিত রেখেছে ঠিকাদার বলছেন, পর পর দুই বার বাধা, সাইট অফিস ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, এ ঘটনায় তাদের সংগঠনের কেউ জড়িত নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পুরনো ভবনের পাশে ‘ফ্যাকাল্টি অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ’ ভবন নির্মাণের কাজ এক বছর আগে শুরু হয়েছে।

১৪ হাজার ৬০ বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের এই ভবন নির্মাণ কাজের দায়িত্বে আছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো আব্দুল খালেদ, মেসার্স ইয়াকুব ব্রাদার্স ও মেসার্স অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা কন্সট্রাকশন (জেভি)।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা নাইমুল ইসলাম নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধান করছেন।

নাইমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২১ জুন দুপুরে কিছু অপরিচিত লোক ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে সাইটে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

“এরপরে তারা ২২ জুন রাতে আবার চাঁদা দাবি করে সাইট অফিস ভাংচুর করে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমরা সেখানে কাজ চালাতে পারব না। হুমকি দেওয়ার পর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ‘অপরিচিত কিছু লোক’ কাজে বাধা, হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে উল্লেখ করা হয়।

ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঠিকাদার অফিস ভাংচুর ও চাঁদা দাবির সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, “কে বা কারা কাজে বাধা দিয়েছে, সে বিষয়ে তারা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) আমাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি। ঘটনা শুনার পর আমরা সেখানে গিয়ে কাউকে পাইনি। আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”