বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএমএ, চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “খুলনায় চিকিৎসকের যেভাবে মৃত্যু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সারাদেশে ডাক্তারা এত কষ্ট করছেন, এ অবস্থায় এরকম একটি ঘটনা ঘটল। রোগীর সেবায় নিয়োজিত সিনিয়র থেকে জুনিয়র নানা বয়সী চিকিৎসকরা সারাদেশে মারা যাচ্ছেন। এর মধ্যেও এ ধরনের ঘটনায় ডাক্তারদের মনোবল ভেঙে যাবে।
কোভিড-১৯ সক্রমণ শুরুর পর ২৫ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বিএমএর উদ্যোগে রোগীদের টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া শুরু হয়। দৈনিক গড়ে প্রায় এক হাজার রোগী এই সেবায় চিকিৎসা পাচ্ছিলেন বলে বিএমএর দাবি।
মার্চের শেষ দিক থেকে বন্দর নগরীতে অধিকাংশ চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ।
মুজিবুল হক খান বলেন, “চেম্বারে রোগী দেখা হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই রোগীদের কথা চিন্তা করেই আমরা টেলিমেডিসিন সেবাটি স্বপ্রণোদিত হয়ে চালু করেছিলাম।
“তারপরও আমরা রোগীদের পাশে না থেকে তো পারব না। এই সার্ভিস বন্ধ থাকবে। তবে রোগীদের অন্যসব জায়গায় সেবা দেয়া হবে।”
খুলনায় ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই চিকিৎসক নেতা।
এদিকে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “অবিলম্বে ডা. রাকিব হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক। চিকিৎসকদের উপর যে কোনো প্রকার হামলার পরিণাম ভয়াবহ হবে।”
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার টেলিমেডিসিন সেবা বন্ধের বিষয়ে ফয়সাল বলেন, “জনসাধারণের এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। যেকোনো প্রয়োজনে সরকারি/বেসরকারি মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ বা ফ্লু কর্নারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হল।”