মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের লকডাউন বাস্তবায়ন শুরু হয়।
লকডাউন বাস্তবায়নকারী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সিদ্ধান্ত অনুসারে উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের ২০টি প্রবেশপথের মধ্যে ১৪টি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। বাকি ছয়টি জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য আংশিক খোলা রাখা হয়।
বুধবার সকালে সড়কে লোকজন তেমন না থাকলেও বিকালে অলিগলিতে আড্ডা, কিছু দোকানপাট খোলা এবং মাস্ক ছাড়া লোকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সকাল থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে রাস্তায় গণপরিবহন ও রিকশা চলাচল করেনি। কিন্তু ওই এলাকায় চারটি গার্মেন্টস খোলা রেখে তাদের কাজ পুরোপুরি চালু রাখায় শ্রমিকরা হেঁটে আসা-যাওয়া করছিলেন।
পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ, পাহাড়তলি ও আকবর শাহ থানার ওসি, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিসহ ভ্রাম্যমান আদালত ওই চার পোশাক কারখানায় গিয়ে কথা বলেন।
কর্ণেল হাট বাজারের বিপরীতে মহাসড়ক লাগায়ো উত্তর কাট্টলী এলাকায় জনবসতির মধ্যেই এসব গার্মেন্টেসের অবস্থান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের বলেছি লকডাউন এলাকার ভিতর এভাবে কারখানা খোলা রাখা যাবে না। নিতান্ত চাইলে অল্প সংখ্যক কর্মীকে কারখানার ভিতরে থাকার ব্যবস্থা রেখে কাজ চালু রাখতে পারেন।
“আলোচনায় তারা সম্মত হয়েছেন, আগামীকাল থেকে কারখানা বন্ধ রাখবেন। কাল আমরা আবার যাব। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিকেলে উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্কবিহীন অযথা ঘুরাফেরা করায় ১১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া দোকান খোলা রাখায় সাত দোকানিকে অর্থদণ্ড করা হয়।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় অসীম ফার্মেসীকে পাঁচশ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, অলিগলিতে কেউ কেউ আড্ডা বসিয়েছিল। আবার কোনো কোনো দোকানের সার্টার আংশিক ফেলে খোলা রাখা হয়।
অভিযান চলাকালে স্থানীয় একটি মসজিদে প্রায় ৪০ জনকে নামাজ পড়তে করতে দেখলে মসজিদটির মুয়াজ্জিন ও ইমামকে নিয়ম মেনে পাঁচ জন নিয়ে পরবর্তী নামাজ পড়তে বলে ভ্রাম্যমান আদালত।
সিটি করপোরেশনের নির্দেশনায় লকডাউন করা এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ধর্মীয় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছিল।
এলাকাবাসীকে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য থাকবে সিটি কর্পোরেশনের কন্ট্রোলরুম ও এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল আছে।
জরুরী প্রয়োজনে চসিকের কন্ট্রোল রুমের এই নম্বরগুলোতে ফোন করতে বলা হয়েছে- ০৩১-৪৩১৫১৩৬৮, ০৩১-৪৩১৫১৩৬৯, ০৩১-৪৩১৫১৩৭০, ০৩১-৪৩১৫১৩৭১, ০৩১-৪৩১৫১৩৭২, মোবাইল- ০১৮১৯-০৫৬৮৪৪, ০১৮১১-৮৮৭০৮৪।