মঙ্গলবার সিসিসির এক অফিস আদেশে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
একই আদেশে একজন স্টোর কিপারকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই ১১ জনই অস্থায়ী ভিত্তিতে সিসিসির স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কর্মরত ছিলেন।
সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, “আদেশ অমান্য করে কর্মস্থলে যোগ না দেয়ায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।”
এছাড়া চাকরি হারানো অন্যজন হলেন স্টোর কিপার মহসিন কবির।
এদিকে আইসোলেশন কেন্দ্রের জন্য ১৬ চিকিৎসকসহ ৪৬ জনকে পদায়ন করা হলেও এই ১১ জন যোগ না দেয়ায় উদ্বোধনের তিনদিন পরও কেন্দ্রটি চালু করতে পারেনি সিসিসি।
নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ‘সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টার’ নামের কেন্দ্রটি ১৩ জুন উদ্বোধন করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে সিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডাক্তার-নার্স ও কর্মীসহ মোট ৪৬ জনকে আইসোলেশন সেন্টারে পদায়ন করা হয়। মেয়র মহোদয় তাদের সাথে বৈঠক করে বেতন দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন।
“আসা-যাওয়ার জন্য গাড়ি, সুরক্ষা সামগ্রী এবং কেউ আক্রান্ত হলে সরকারি প্রণোদনার আশ্বাসও দেয়া হয়। এরপর তাদের জন্য তিনদিনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।”
তিনি বলেন, “কিন্তু ওইদিনের পর এই ১১ জন প্রশিক্ষণে আসেননি। কোনো যোগাযোগও করেননি। তারা যোগ না দেয়ায় আমরা আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করতে পারিনি। এখন আবার নতুন করে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাল থেকে উনাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
“প্রশিক্ষণ দিয়ে রোগী ও চিকিৎসক সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করেই আমরা কেন্দ্রটি চালু করতে চাই। আমিও একজন চিকিৎসক। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সারা দেশে অনেক চিকিৎসক যখন আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন তখন এদের পিছিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।”
২৫০ শয্যার আইসোলেশন কেন্দ্রটিতে ২১০ শয্যা পুরুষদের জন্য এবং ৪০ শয্যা নারীদের জন্য বরাদ্দ। সেখানে অক্সিজেন সুবিধাও থাকবে।